রবিবার থানায় অভিযোগ করেন ছেলেটির মা। —প্রতীকী ছবি
পরীক্ষায় ফেল করেছিল পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। শিক্ষকের মারে প্রাণটাই চলে গেল তার! এমনটাই অভিযোগ পরিবারের। গ্রেটার নয়ডার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। যে দিন মারধর করা হয়েছিল ছেলেটিকে, সে দিন সে অসুস্থ ছিল। তাই মৃত্যুর কারণ এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার বাদলপুর থানায় অভিযোগ করেন ছেলেটির মা। জানান, গত শুক্রবার তাঁর ১২ বছরের ছেলেকে মারধর করেছেন শিক্ষক। চিকিৎসা চলাকালীন শনিবার সন্ধ্যাবেলা তার মৃত্যু হয়েছে।
কিশোরের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় (অনিচ্ছাকৃত খুন) মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম শোভারান। বয়স ৪২ বছর।
নয়ডা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার রামবদন সিংহ বলেন, ‘‘৭ অক্টোবর একটি পরীক্ষা নেন শোভারান। ওই পরীক্ষায় বেশ কয়েক জন ফেল করে। তাদের হাতে বেত দিয়ে মারেন ওই শিক্ষক। যদিও কিশোরের হাত ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। দাদরি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে দিল্লির লোক নায়ক হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই হাসপাতালেই মৃত্যু হয় কিশোরের। কিশোর আগে থেকেই অসুস্থ ছিল বলে জেনেছি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে, কী অসুস্থতা ছিল তার।’’
ডিসি রামবদন আরও জানিয়েছেন, নয়ডার বাম্বাওয়ার গ্রামে থাকত কিশোর। অভিযুক্ত শিক্ষকও সেখানেই থাকেন। ছাত্রের চিকিৎসা চলার সময় তার পরিবারের পাশে ছিলেন শিক্ষক। হাসপাতালেও গিয়েছিলেন। তবে কিশোরের মৃত্যুর পর থেকে তিনি ফেরার। কিশোরের ময়নাতদন্ত হয়েছে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নিয়ে মুখ খুলতে চাইছে না পুলিশ।