অযোধ্যায় রামমন্দির। — ফাইল চিত্র।
২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরে রামলালার বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করা হবে। উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই প্রস্তুতি শুরু হতে চলেছে মকর সংক্রান্তির পরের দিন, ১৬ জানুয়ারি থেকেই।
১৬ জানুয়ারি রামলালার বিগ্রহের ঘরে ফেরার আচার পালন শুরু হবে। পরের দিন গোটা অযোধ্যায় ঘোরানো হবে সেই বিগ্রহ। তার পরের দিন শুরু হবে ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’র প্রক্রিয়া। মন্দির চত্বরে বিগ্রহ প্রবেশের আগে করা হবে মণ্ডপের পুজো, যাকে বলা হয় ‘মণ্ডপ প্রদেশ পূজন’। এর পর মন্দিরে হবে ‘বাস্তু পুজো’। ওই একই দিনে নদীর দেবতাকে পুজো করা হবে। বরুণদেবের পুজোর মাধ্যমে। এর পর ধাপে ধাপে ‘বিঘ্নহর্তা’ গণেশের পুজো এবং মায়ের পুজো করা হবে। ১৮ জানুয়ারি শেষ হবে সে সব পুজো।
১৯ জানুয়ারি অগ্নিকুণ্ড তৈরি করে শুরু হবে যজ্ঞ। মন্দির চত্বরে ৮১টি ঘড়ায় রাখা রয়েছে জল। সেই জল দিয়ে পরের দিন শোধন করা হবে মন্দির। দেশের বড় নদীর থেকে জল তুলে এনে ওই ঘড়ায় ভরা হয়েছে। ওই দিনই ‘বাস্তুশান্তি পুজো’ হবে মন্দিরে। বাস্তুর যদি কোনও ‘দোষ’ থাকে, তা এই পুজোর মাধ্যমে দূর করা হবে। প্রাণপ্রতিষ্ঠার ২৪ ঘণ্টা আগে মন্দিরে হবে মহাযজ্ঞ। তার পর রামলালার মূর্তিকে ১২৫টি পাত্রে জল দিয়ে স্নান করানো হবে। ২২ জানুয়ারি দুপুর ১২টা ২৯ মিনিট ৮ সেকেন্ড থেকে ১২টা ৩০ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের মধ্যে শেষ করতে হবে আচার। বিশ্বহিন্দু পরিষদের মুখপাত্র বিনোদ বনসল জানান, বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে এ ধরনের আচার পালন করা হয়। হিন্দুধর্মে রীতি মেনে শহরে ঘোরানোও হয় বিগ্রহ। এ ভাবে শহরবাসীকে যোগ দেওয়ার কথা জানান তিনি। এর আগে ১ জানুয়ারি অযোধ্যার বাড়ি বাড়ি ঘুরে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছেন সাধুসন্তেরা।
২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত প্রায় আট হাজার বিশিষ্টজন। প্রধানমন্ত্রী তার পরের দিন থেকে সাধারণ মানুষকে মন্দিরে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।