আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আধিকারিক এবং জেলাশাসক এসে পৌঁছন। ছবি: পিটিআই।
ঝাড়খন্ডের ধানবাদের ব্যাঙ্ক মোড় এলাকায় একটি বহুতলে আগুন লাগে। এই অগ্নিকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ১৪ জন মারা গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ধানবাদের জেলাশাসক সন্দীপকুমার সিংহ। মৃতদের মধ্যে ৩ শিশু রয়েছে বলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে খবর। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মৃতদের দেহ ধানবাদ মেডিক্যাল কলেজে রাখা হয়েছে। বুধবার সকালে দেহগুলির ময়নাতদন্ত করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে এবং আহতেরা ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ পাবেন।
আগুন লাগার পর বহুতলে আটকে থাকার ফলে দমবন্ধ হয়ে অধিকাংশের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ১০ তলা এই আবাসনের তৃতীয় তলায় শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক অনুমান। তার পর তিন তলা থেকে সেই আগুন ছড়িয়ে চার তলায় পৌঁছয়। চার তলার একটি ফ্ল্যাটের রান্নাঘরে প্রথমে আগুন লাগে। রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় তাতে আগুন ধরে যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিয়ের অনুষ্ঠান থাকায় ওই ফ্ল্যাটের অধিকাংশ বাসিন্দা স্থানীয় অনুষ্ঠান বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিছু আত্মীয়স্বজন থেকে গিয়েছিলেন ফ্ল্যাটে। অগ্নিকাণ্ডে তাঁদের কয়েক জন মারা গিয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় পরিবারের সকলেই ভেঙে পড়েছেন।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেখানে দমকলবাহিনী থাকলেও তাদের পরিকাঠামো ভাল নয়। কোনও বড় আবাসনে আগুন লাগলে তা নিয়ন্ত্রণ করার মত ক্ষমতা নেই দমকলকর্মীদের। পাশের আবাসন থেকে জল নিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালায় দমকলবাহিনী। স্থানীয়রা উদ্ধারকাজে হাত লাগান। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আধিকারিক এবং জেলাশাসক এসে পৌঁছন।
শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হলেও আগুন লাগার প্রকৃত কারণ কী, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। এমনকি, এই আবাসন বসবাসের জন্য কতটা নিরাপদ তা পরীক্ষানিরীক্ষা করার পরেই বাসিন্দাদের আবাসনের ভিতরে যাওয়ার অনুমতি দেবে স্থানীয় প্রশাসন। আপাতত আবাসন খালি করে দেওয়া হয়েছে।