দ্রৌপদী মুর্মু এবং যশবন্ত সিনহা। ফাইল চিত্র।
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের দল বিজেডি আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থনের ঘোষণা করায় অনেকটাই স্বস্তিদায়ক জায়গায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। রাজনৈতিক পরিস্থিতির গুরুতর কোনও পরিবর্তন না ঘটলে ১৮টি বিরোধী দলের জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে হারিয়ে দ্রৌপদীর রাইসিনা হিল যাত্রা নিশ্চিত।
বিজেডির সমর্থন পাওয়ার পরে অঙ্কের বিচারে কেন্দ্রের শাসক শিবির রাষ্ট্রপতি পদে তাদের মনোনীত প্রার্থীকে জিতিয়ে আনার জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেন সাংসদ ও বিধায়কেরা। যে অঙ্কে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়, তাতে মোট ভোটের মূল্য প্রায় ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৯০৩। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার পাঁচ লক্ষ ৪৯ হাজার ৪৫২ ভোট।
বিজেপি এবং তার শরিক দলগুলির হাতে এখন রয়েছে প্রায় পাঁচ লক্ষ ২৬ হাজার ভোট। এর সঙ্গে নবীনের দলের ৩১ হাজার ভোট যুক্ত হলে দ্রৌপদীর জিততে অসুবিধা হবে না। তা ছাড়া অন্ধ্রপ্রদেশের শাসকদল ওয়াইএসআর কংগ্রেসও নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের প্রার্থীকে সমর্থনের ‘বার্তা’ দিয়েছেন বলে বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে। জগন্মোহন রেড্ডির দলের সাংসদ-বিধায়ক মিলে ভোট প্রায় সাড়ে ৪৫ হাজার। এ ছাড়া তেলঙ্গানার শাসকদল টিআরএসের প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের তরফেও দ্রৌপদীকে সমর্থনের ঘোষণা আসবে বলে জল্পনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, কোনও রাজ্যের জনসংখ্যাকে প্রথমে সেই রাজ্যের বিধায়ক সংখ্যা দিয়ে ভাগ করা হয়। তার পর সেই ভাগফলকে ১০০০ দিয়ে ভাগ করা হয়। এতে যে সংখ্যা এল, তা যদি পূর্ণ সংখ্যা হয়, তা হলে সেটাই সেই রাজ্যের প্রত্যেক বিধায়কের ভোটমূল্য। যদি পূর্ণ সংখ্যা না হয়, তা হলে নিকটবর্তী পূর্ণ সংখ্যাটিই সেই রাজ্যের প্রত্যেক বিধায়কের ভোটমূল্য। সেই প্রক্রিয়া অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেক বিধায়কের ভোটমূল্য ১৫১।
এই হিসেব মেনে বিধায়কদের সম্মিলিত ভোটমূল্য পাঁচ লক্ষ ৪৯ হাজার ৪৭৪। সাংসদদের সম্মিলিত ভোটমূল্যও তাই ধরে নিয়ে ওই সংখ্যাকে লোকসভা এবং রাজ্যসভার মোট সাংসদ সংখ্যা (৭৭৬) দিয়ে ভাগ করা হয়। ভাগফলকে নিকটবর্তী পূর্ণ সংখ্যায় নিয়ে গেলে প্রত্যেক সাংসদের ভোটমূল্য দাঁড়ায় ৭০৮।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।