রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ জোটের প্রার্থী হচ্ছেন দ্রৌপদী মুর্মু। মঙ্গলবার একটি বৈঠকের পর তাঁর নাম ঘোষণা করেন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা।
নড্ডা বলেন, এনডিএ শরিকদের সঙ্গে আলোচনায় সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে ২০ জনের নাম এসেছিল। শেষ পর্যন্ত দ্রৌপদীর নাম চূড়ান্ত হয়েছে।
ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার বাইদাপোসি গ্রামে ১৯৫৮ সালে এক সাঁওতাল পরিবারে জন্ম দ্রৌপদীর।
রাজনীতিতে আসার আগে তিনি একটি স্কুলে শিক্ষিকার কাজ করতেন। বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়ে ১৯৯৭ সালে ওড়িশার রায়রংপুর নগর পঞ্চায়েতের কাউন্সিলর হন তিনি।
দ্রৌপদী বিজেপির তফসিলি উপজাতি মোর্চার ভাইস-প্রেসিডেন্ট ছিলেন। দলীয় সূত্রের খবর, দক্ষতার সঙ্গে সংগঠন সামলেছেন তিনি।
তাঁর রাজনৈতিক পথ ছিল মসৃণ। ২০০০ এবং ২০০৪ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে তিনি নবীন পট্টনায়কের নেতৃত্বাধীন বিজেডি-বিজেপি সরকারে মন্ত্রী হন।
প্রথম দফায় তিনি সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। পরে তিনি পরিবহণ, পশুপালন, মৎস্য দফতরও সামলান।
২০০৭ সালে ওড়িশার সেরা বিধায়ক হিসাবে ‘নীলকণ্ঠ পুরস্কার’ পান দ্রৌপদী।
২০০৯ সালে বিজেডির সঙ্গে বিজেপির জোট ছিন্ন হয়ে গেলেও মুর্মু বিধানসভা ভোটে জিতে যান।
২০১৫ সালে ঝাড়খণ্ডের প্রথম মহিলা রাজ্যপাল হিসাবে শপথ নেন দ্রৌপদী মুর্মু।
দ্রৌপদীই ঝাড়খণ্ডের প্রথম রাজ্যপাল যিনি পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেছিলেন।
২০১৭ সালেও রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম উঠে এসেছিল। শেষ পর্যন্ত বিহারের তৎকালীন রাজ্যপাল রামনাথ কোবিন্দকেই বেছে নেয় কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন জোট।
রাজনৈতিক জীবনে সফল হলেও দ্রৌপদীর ব্যক্তিগত জীবন যন্ত্রণাময়। মহাভারতের দ্রৌপদীর মতো তাঁর জীবনেও এসেছে পুত্রশোক। দুই ছেলেকেই হারিয়েছেন দ্রৌপদী। হারিয়েছেন স্বামীকেও। একটি মেয়ে রয়েছে তাঁর।
এ বার তাঁর গন্তব্য রাইসিনা হিল। রাষ্ট্রপতি পদে বিরোধীদের প্রার্থী যশবন্ত সিন্হাকে হারালে দ্রৌপদীই হবেন দেশের প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি।