Red Fort Attack Case

লালকেল্লা হামলায় দোষী পাক জঙ্গি আরিফ এ বার ফাঁসিতে? প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ রাষ্ট্রপতির

২০০০ সালের ২২ ডিসেম্বর লালকেল্লায় জঙ্গি হামলার ওই ঘটনায় দুই সেনা এবং এক সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছিলেন। ২০০৫ সালে নিম্ন আদালত আরিফকে ফাঁসির সাজা দেয়। সুপ্রিম কোর্টও তা বহাল রাখে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২৪ ১৬:৫১
Share:

লালকেল্লায় হামলার মূল অপরাধী আরিফ। — ফাইল চিত্র।

দিল্লির লালকেল্লায় ২০০০ সালের হামলায় ঘটনার দোষী পাকিস্তানি জঙ্গি মহম্মদ আরিফ ওরফে আশফাকের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। বুধবার রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে।

Advertisement

এই নিয়ে দ্বিতীয় বার আরিফের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করলেন রাষ্ট্রপতি মুর্মু। তার আগে ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তইবার সদস্য আরিফের তরফে দায়ের করা মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে ফাঁসির সাজা বহাল রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এই পরিস্থিতিতে আরিফের ফাঁসিকাঠে ঝোলা কার্যত নিশ্চিত বলেই মনে করা হচ্ছে।

২০০০ সালের ২২ ডিসেম্বর লালকেল্লায় ভারতীয় সেনার রাজপুতানা রাইফেলসের ৭ নম্বর ব্যাটেলিয়নের শিবিরে হামলায় সরাসরি জড়িত ছিলেন পাক জঙ্গি আরিফ। ওই ঘটনায় দুই সেনা এবং এক সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছিলেন। চার দিন পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। ২০০৫ সালে নিম্ন আদালত আরিফকে ফাঁসির সাজা দেয়। দিল্লি হাই কোর্টও তা বহাল রাখে। ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টও লালকেল্লা হামলার মূল দোষী আরিফকে একই সাজা দিয়েছিল।

Advertisement

ফাঁসির সাজা রদের আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতের কাছে আরিফ যে ‘রিভিউ পিটিশন’ জমা দিয়েছিলেন, ২০২২-এর ৩ নভেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ তা খারিজ করে দিয়েছিল। জানিয়েছিল, আরিফের বিরুদ্ধে হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়ার প্রমাণ মিলেছে।

প্রসঙ্গত, ‘লালকেল্লা হামলায় আরিফের সঙ্গী’ দাবি করে ২০১৮ সালে বিলাল আহমেদ কাওয়া নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল গুজরাত পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা (অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড বা এটিএস) ও দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জানায়, বিলালের বিরুদ্ধে লস্কর-যোগের কোনও প্রমাণ নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement