গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
লোকসভা ভোটের পরে জম্মু ও কাশ্মীরে ধারাবাহিক জঙ্গিহানার ঘটনা নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে নিশানা করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এক্স হ্যান্ডলে বুধবার তিনি লিখেছেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী এখন অভিনন্দন বার্তার প্রতিক্রিয়া জানাতে ব্যস্ত। এমনকি, জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় নির্মম ভাবে খুন হওয়া পুণ্যার্থীদের পরিবারের কান্নাও শুনতে পাচ্ছেন না।’’
রবিবার জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় বৈষ্ণো দেবীর মন্দিরে যাওয়ার সময় পুণ্যার্থীদের বাসে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। মৃত্যু হয় ন’জনের। আহত হন প্রায় ৪০ জন। উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান থেকে পুণ্যার্থীরা গিয়েছিলেন। জম্মুর শিবখড়ি মন্দির থেকে কাটরায় বৈষ্ণো দেবীর মন্দিরের উদ্দেশে যাচ্ছিল পুণ্যার্থীদের বাসটি। সেই সময়েই হামলা চালায় জঙ্গিরা। মঙ্গলবার কাঠুয়া জেলার হিরানগরীতে কয়েকটি বাড়িতে ঢুকে গুলি চালায় একদল জঙ্গি। এর পরে রাতে হামলা হয় ডোডার সেনাশিবিরে।
গত তিন দিনে কাশ্মীর উপত্যকায় তিনটি জঙ্গি হামলার ঘটনার পরেও প্রধানমন্ত্রী মোদী কেন নীরব, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল। তিনি লিখেছেন, ‘‘কেন বিজেপির শাসনে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের ধরা হচ্ছে না, তার উত্তর চাইছে দেশ।’’ কেরল সফরে গিয়ে বুধবার রাহুল লোকসভা ভোটে বারাণসীতে মোদীর জয়ের ব্যবধান অনেক কমে যাওয়া নিয়ে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘‘অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন মোদী।’’
এআইসিসির মুখপাত্র পবন খেরাও কাশ্মীরে ধারাবাহিক জঙ্গিহানার ঘটনা নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর এনডিএ সরকার যখন শপথ গ্রহণ করছিল, ঠিক তখন জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় একটি ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলার শিকার হয়েছেন তীর্থযাত্রীরা। ন’টি মূল্যবান প্রাণ শেষ হয়ে গিয়েছে, গুরুতর আহত হয়েছে ৩৩ জন। কিন্তু এখনও প্রধানমন্ত্রীর তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।’’