বিজেপি ও আরএসএসকে বিঁধলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। ছবি পিটিআই।
এক কাপ কফির উপরে যে ফেনা থাকে, সেটা হল বিজেপি। আর কাপে ঘন অংশটা হল আরএসএস। রবিবার বিহারে এ ভাবেই বিজেপি এবং আরএসএস প্রসঙ্গে মন্তব্য করলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। শুধু তাই নয়, গান্ধীর কংগ্রেসকে পুনরুজ্জীবিত করলে তবেই নাথুরাম গডসের মতাদর্শ রোখা যাবে বলেই মনে করেন পিকে।
বস্তুত, নরেন্দ্র মোদীর উত্থানের পিছনে এই দুঁদে ভোটকুশলীর ভূমিকার কথা সর্বজনবিদিত। নির্বাচনী কৌশল বাতলে দেশে বিজেপি সরকার তৈরির পিছনে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন প্রশান্ত। কিন্তু সেই সম্পর্কে পরে চিড় ধরে। বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে তাদের বিরুদ্ধেই লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন পিকে। এমনকি, ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে মোদীবাহিনীকে ক্ষমতাচ্যুত করতেও উঠেপড়ে লেগেছেন প্রশান্ত। এই আবহে বিজেপি এবং আরএসএসের সঙ্গে যে ভাবে এক কাপ কফির তুলনা টানলেন, তা তাৎপর্যপূর্ণ।
রবিবার এই প্রসঙ্গে কিশোর বলেছেন, ‘‘কখনও এক কাপ কফি দেখেছেন? কাপের উপরিভাগে ফেনা থাকে। বিজেপি হচ্ছে ওই ফেনার মতো। তার নীচে ঘন অংশটা থাকে, সেটাই হল আরএসএস। যে ভাবে সমাজে সঙ্ঘের বিস্তার ঘটেছে, তাতে সহজে একে মুছে ফেলা যাবে না।’’
অন্য দিকে, গডসের মতাদর্শ রুখতে গান্ধীর কংগ্রেসের পুনরুজ্জীবনের যে বার্তা দিলেন পিকে, তা-ও উল্লেখযোগ্য। কিছু দিন আগেই, পিকের কংগ্রেসে যোগদানের জল্পনা ছড়িয়েছিল। তাঁকে কংগ্রেসে যোগ দিতে প্রস্তাবও দিয়েছিলেন দলের সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। কিন্তু শতাব্দী প্রাচীন দলে যোগদানের সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। সেই কংগ্রেসে সম্পর্কেই রবিবার পিকে বললেন, ‘‘নাথুরাম গডসের মতাদর্শকে রোখা সম্ভব, যদি গান্ধীর কংগ্রেসের পুনরুজ্জীবিত হয়।’’ কংগ্রেসে যোগদানের প্রস্তাব সরিয়ে রাখলেও তিনি যে এখনও শতাব্দী প্রাচীন দলটিকে সম্মান করেন, সেই ইঙ্গিতই দিলেন পিকে। তবে একই সঙ্গে ‘গান্ধীর কংগ্রেস’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করে স্মরণ করিয়ে দিলেন যে, মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসের প্রতিই তাঁর শ্রদ্ধা রয়েছে।