বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁর সরকার ফেলার চেষ্টার অভিযোগ কেসিআরের। — ফাইল ছবি।
তেলঙ্গানায় চরমে উঠছে রাজনৈতিক উত্তাপ। বিজেপির বিরুদ্ধে এ বার সরাসরি বিধায়ক ভাঙানোর বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা টিআরএস প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি ২০-৩০ জন টিআরএস বিধায়ককে টাকা দিয়ে কেনার টোপ দিচ্ছে। যাতে তেলঙ্গানায় বিজেপি সরকার তৈরি করা যায়।
গোলমালের সূত্রপাত, সম্প্রতি তেলঙ্গানা পুলিশের হাতে একটি গ্রেফতারির ঘটনার পর। পুলিশের একটি অংশের অভিযোগ, যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁরা বিজেপি-ঘনিষ্ঠ এবং চার টিআরএস বিধায়ককে কোটি কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে তাঁরা দলবদল করাতে চেয়েছিলেন।
এই প্রেক্ষিতে চাপান-উতোর চলছিলই। রবিবার বোমা ফাটিয়ে দিলেন কেসিআর। উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়েছিলেন মুনুগোদেতে। সেখানে ভরা জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘‘১০০ কোটি টাকা দিয়ে বিধায়ক কিনতে ওরা দালাল পাঠিয়েছে। ওদের আসল উদ্দেশ্য, ২০ বা ৩০ জন বিধায়ককে কিনে কেসিআরের সরকার ফেলে দেওয়া এবং সেই সুযোগে তেলঙ্গানায় ঢুকে পড়া। যাতে এই রাজ্যেও ঢালাও বেসরকারিকরণ শুরু করে দেওয়া যায়।’’
আগামী বছরই বিধানসভা ভোট তেলঙ্গানায়। তার আগে থেকেই রাজ্যের রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছে। এ বারই তেলঙ্গানায় ক্ষমতা দখলের লক্ষ্য স্থির করেছে বিজেপি। অন্য দিকে, ঘাঁটি আগলে পড়ে রয়েছেন টিআরএস প্রধান কেসিআরও। প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাঁর বিজেপি তথা মোদী-বিরোধিতা।
যে চার জন টিআরএস বিধায়ককে ১০০ কোটি টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির অভিযোগ করা হচ্ছে, রবিবার কেসিআর মঞ্চে সেই চার জনকে পাশাপাশি দাঁড় করিয়ে ভাষণ দেন। আঙুল দিয়ে তাঁদের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘‘এই চার জনকে টোপ দিতে এসে দালালরা এখন জেলে বসে রয়েছে!’’
যদিও টিআরএসের অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপি। তাদের দাবি, তেলঙ্গানায় সরকার ফেলার প্রচেষ্টায় তাদের কোনও হাত নেই।
প্রসঙ্গত, ২০১৮-এর বিধানসভা ভোটে ১১৯ আসনের তেলঙ্গানা বিধানসভায় একা ৮৮টি আসন জিতেছিল কেসিআরের টিআরএস। বিজেপি জিতেছিল মাত্র একটি আসন। এ বার এই রাজ্যেই ক্ষমতা দখলের পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপির।