Pilot

মুদির দোকান থেকে ককপিট, একের পর এক বাধা পেরিয়ে রাজ্যের দ্বিতীয় মহিলা পাইলট আফরিন

স্বপ্নপূরণের পথ সহজ ছিল না আফরিনের। আদিলাবাদের ইন্দরভেল্লি মণ্ডল সেন্টারে মুদির দোকান রয়েছে তাঁর বাবা আজিজ হিরানির। ছোট থেকেই আকাশে বিমান ওড়ানোর স্বপ্ন দেখতেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২২ ১৮:০৮
Share:

ছোট থেকেই আকাশে বিমান ওড়ানোর স্বপ্ন দেখতেন আফরিন হিরানি। — ফাইল ছবি।

বাবার ছোট মুদির দোকান। বাধা ছিল অনেক। কিন্তু সেসব তোয়াক্কা করেননি আফরিন হিরানি। একের পর এক চ্যালেঞ্জ জিতে ২৮ বছরের তরুণী আজ দেশের সব থেকে বড় বিমান সংস্থার পাইলট। তেলঙ্গনার আদিলাবাদের দ্বিতীয় মহিলা বিমান চালক তিনি।

Advertisement

স্বপ্নপূরণের পথ সহজ ছিল না আফরিনের। আদিলাবাদের ইন্দরভেল্লি মণ্ডল সেন্টারে মুদির দোকান রয়েছে তাঁর বাবা আজিজ হিরানির। মাঝেমধ্যে দোকানে যেতেন আফিরন। যদিও ছোট থেকেই আকাশে বিমান ওড়ানোর স্বপ্ন দেখতেন তিনি। একটি সংবাদ মাধ্যমকে আফরিন বলেন, ‘‘চেয়েছিলাম, শীর্ষে পৌঁছব। অন্য মেয়েদের জন্য উদাহরণ তৈরি করব। আদিলাবাদের স্কুলে পড়াশোনা করেছিলাম। তার পর হায়দরাবাদে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে বেসরকারি কলেজে ভর্তি হই। অস্ট্রেলিয়ার দু’বছর পাইলট হওয়ার প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। তার পরেই বুঝতে পারি আমার স্বপ্ন সফল।’’

২০২০ সালের মধ্যেই সমস্ত প্রশিক্ষণ শেষ হয় আফরিনের। কিন্তু তার পর বেশ ফাঁপরেই পড়েছিলেন আদিলাবাদের তরুণী। কারণ অতিমারি। আশা হারাননি আফরিন। ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেছিলেন প্রায় দু’বছর। অবশেষে ইন্ডিগো সংস্থার ককপিটে সেকেন্ড-ইন-কমান্ড নিযুক্ত হন তরুণী।

Advertisement

আফরিনের আগে তেলঙ্গনার আদিলাবাদ থেকে বিমান চালনার পেশায় সফল হয়েছিলেন আরও এক জন মহিলা। তিনি স্বাতী রাও। এই স্বাতীকে দেখেই উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন আফরিন। এ বার আফরিনের আশা, তাঁকেও দেখেও আদিলাবাদের আরও অনেক মেয়ে বিমান চালনাকেই পেশা হিসাবে নেবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement