—প্রতীকী চিত্র।
আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর থেকে দেশ জুড়ে জোরালো হয়েছে নারী নিরাপত্তার দাবি। ধর্ষণের মতো সামাজিক ব্যাধি থেকে পুরুষেরা কতটা নিরাপদ, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। উত্তরপ্রদেশের হাপুর জেলার ঘটনা আবারও সেই প্রশ্নটিই তুলে আনল। পাঁচ বছর বয়সি এক নাবালককে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে হাপুরের এক গ্রামে। অভিযোগ, দুই অভিযুক্ত ওই নাবালককে গণধর্ষণ করে। আরও দু’জন সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন বলেও অভিযোগ। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে পকসো ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে অভিযুক্তেরা এখনও অধরা। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে স্থানীয় থানার পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছিল গত ১৯ সেপ্টেম্বর। অভিযোগ, ওই নাবালককে বাড়ি থেকে অপহরণ করে একটি খামারবাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন দুই ব্যক্তি। এর পর সেখানেই তাঁরা নাবালককে গণধর্ষণ করেন। খামারবাড়িতে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন দুই মেষপালক। তাঁরা সেই যৌন নির্যাতনের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে অন্তর্জালে ছড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ। ঘটনার পর পরিবারের কাছে প্রথমে কিছু জানায়নি ওই নাবালক। পরে তার গায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখে সন্দেহ হয় পরিবারের সদস্যদের। কী ভাবে আঘাত লাগল, তা নিয়ে পরিবারের লোকেরা প্রশ্ন করতেই বাড়িতে গোটা বিষয়টি জানায় নির্যাতিত ওই নাবালক।
এর পরে এক অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়ে চড়াও হন নাবালকের পরিবারের লোকেরা। সেই সময় পরিবারের লোকেদের খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে ওই শিশুর পরিবারের সদস্যেরা স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তত ক্ষণে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছিলেন অভিযুক্তেরা। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে চার অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। স্থানীয় থানার ইনস্পেক্টর জানিয়েছেন, চার জনের বিরুদ্ধে ‘গুরুতর অভিযোগ’ তুলেছে নাবালকের পরিবার। অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিশের একাধিক দল তল্লাশি চালাচ্ছে। দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি।