—প্রতীকী চিত্র।
স্কুলের মধ্যেই দুই খুদে পড়ুয়াকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে কয়েক দিন আগেই উত্তাল হয়েছে মহারাষ্ট্রের বদলাপুর। এরই মধ্যে ফের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ। এ বারও ঘটনাস্থল সেই বদলাপুরই। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ে প্রকাশ, ১৬ বছরের কন্যাকে ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে পিতার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবারই এ কথা জানিয়েছে পুলিশ। ৫৪ বছর বয়সি অভিযুক্ত পিতা ঘটনার পর থেকে এলাকা ছেড়ে বেপাত্তা। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রায়শই তাঁর নাবালিকা কন্যাকে মারধর করতেন। একাধিক বার তিনি কন্যাকে ধর্ষণও করেছেন বলে অভিযোগ। শেষ বার এই অত্যাচার হয়েছিল ২২ অগস্ট। ওই দিন ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল কিশোরী। পরে আবার বাড়ি ফিরেও গিয়েছিল। এর পর সোমবার কিশোরী নিজেই থানায় গিয়ে পিতার নামে অভিযোগ দায়ের করেন।
কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ ধারায় ধর্ষণ, ৭৪ ধারায় নিগ্রহ ও শ্লীলতাহানি, ৭৫ ধারায় যৌন নিগ্রহ এবং ১১৮ ধারায় ইচ্ছাকৃত ভাবে গুরুতর আঘাত করার অভিযোগে মামলা রুজু করেছে। পাশাপাশি পকসো আইনেও মামলা রুজু হয়েছে অভিযুক্ত পিতার বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই বদলাপুরের এক কিন্ডারগার্টেন স্কুলে দুই খুদে ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যে স্কুলের এক সাফাইকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বদলাপুরের ওই ঘটনায় গোটা মহারাষ্ট্রে প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছে বম্বে হাই কোর্টও।
বদলাপুরকাণ্ড ঘিরে বেশ অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে মহারাষ্ট্রের সরকারকেও। প্রশ্ন উঠেছে নারী নিরাপত্তা নিয়ে। বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মাঝেই মহারাষ্ট্র সরকার একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে। সোমবারই সে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী প্রস্তাব দিয়েছেন, স্কুল ও হস্টেলগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরার মতো ‘প্যানিক বোতাম’ বসানো হোক। কিন্তু এরই মধ্যে বদলাপুরে ফের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ। এ বার নিজের বাড়িতেই। অভিযুক্ত নির্যাতিতার পিতা। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ওই পিতা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। তাঁর খোঁজে ইতিমধ্যেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে একাধিক জায়গায়।