—প্রতীকী চিত্র।
গ্রামের একাধিক নাবালিকা ও যুবতীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করতেন অভিযুক্ত। এর পর সেই ভিডিয়ো ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতাতেন বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের হয়েছে মীরাটের স্থানীয় এক থানায়। ৩৭ বছর বয়সি ওই অভিযুক্ত গ্রামের মোট ছয় জনকে যৌন নিগ্রহ করেছেন বলে অভিযোগ। নির্যাতিতাদের মধ্যে চার জন নাবালিকা। অভিযোগটি প্রথম প্রকাশ্যে এসেছিল ১৯ অগস্ট। তার পর থেকে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত, কিন্তু অভিযুক্ত এখনও অধরা।
অভিযুক্ত ব্যক্তি গ্রামে একটি মুদি দোকান চালান। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের দোকানে যখন কেউ কিছু কিনতে আসতেন, তখনই তাঁদের ফাঁদে ফেলতেন ওই ব্যক্তি। তাঁদের পানীয় খেতে দিতেন অভিযুক্ত। সেই পানীয়র মধ্যে মেশানো থাকত নেশার দ্রব্য। এর পর অভিযুক্ত তাঁদের যৌন নিগ্রহ করতেন এবং সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে রাখতেন। পরে সেই ভিডিয়ো প্রকাশ করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতেন বলে অভিযোগ।
মীরাটের ওই গ্রামে অভিযুক্তের বাড়িতে রয়েছেন তাঁর মা, স্ত্রী, কন্যা ও এক ভাইপো। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই এলাকা থেকে পলাতক অভিযুক্ত ব্যক্তি। তাঁর সন্ধান চালাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। পুলিশ জানিয়েছে, গত আট দিন ধরে একাধিক জায়গায় অভিযুক্তের খোঁজ চালানো হয়েছে কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার এ বিষয়ে মীরাট জেলার পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক কমলেশ বাহাদুর জানিয়েছেন, “অভিযোগ মেলার পরই দ্রুত এফআইআর রুজু করা হয়েছে। নাবালিকাদের কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করেছি আমরা। তাদের বয়ানও রেকর্ড করা হবে। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে অভিযুক্তকে ধরার জন্য। দ্রুত তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।”