সইফ আলি খান এবং নীতেশ রানে। —ফাইল চিত্র।
সেফ আলি খানকে ‘জঞ্জাল’ বলে আখ্যা দিয়ে তিনি আদৌ ছুরিকাহত হয়েছেন কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন মহারাষ্ট্রের বন্দর মন্ত্রী নীতেশ রানে। আজ তিনি বলেন, হাসপাতাল থেকে বেরোনোর পরে সেফকে দেখে তাঁর মনে হয়েছে, সেফের সবটাই অভিনয়। নীতেশের দাবি, সুশান্ত সিংহ রাজপুতের ‘নির্যাতন’ নিয়ে সবাই চুপ থাকেন, খানেরা আক্রান্ত হলেই হইচই শুরু হয়। তার পরে বাংলাদেশিদের দিকেও আঙুল তোলেন তিনি। মন্ত্রীর কথায়, ‘‘ওরা আগে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকত, এখন বাড়িতে ঢুকছে!’’ এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, ‘‘ও (হামলাকারী) মনে হয় সেফকে নিতে এসেছিল। জঞ্জাল নিয়ে গেলেই ভাল!’’
সেফের উপরে হামলার অভিযোগে ধৃত বাংলাদেশি নাগরিক শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদ যে বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল, তা স্বীকার করেছেন ধৃতের বাবা রুহুল আমিন ফকির। এবিপি নিউজকে রুহুল বলেন, ‘‘আমরা বিএনপি করি। আমাকে এবং আমার দুই ছেলেকে অনেক অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে (পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পরে) শেখ হাসিনা আরও ক্ষমতাশালী হয়ে উঠলে আমাদের পক্ষে ঝালকাঠির গ্রামে বাস করা মুশকিল হয়ে পড়ে। শরিফুল আমায় জিজ্ঞাসা করত, ‘আব্বা, এখন আমরা কী করব?’ তার পরে মার্চের শেষ-এপ্রিলের গোড়ার দিক নাগাদ শরিফুল বেআইনি ভাবে ভারতে চলে যায়।’’
রুহুল জানান, শরিফুল মুম্বইয়ের হোটেলে কাজ করে বলে তাঁকে জানিয়েছিল। প্রতি মাসে দশ-পনেরো হাজার টাকা পাঠাত। গত শুক্রবার শরিফুলের সঙ্গে তাঁর শেষ বার কথা হয়। তবে শরিফুল বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ের কুস্তিগির বলে যে খবর ছড়িয়েছে, তা ভুল বলে জানাচ্ছেন রুহুল। তিনি জানান, শরিফুল বাইকচালকের কাজ করত।
পুলিশ সূত্রের খবর, সেফের বাড়িতে পাওয়া আঙুলের ছাপ শরিফুলের আঙুলের সঙ্গে মিলে গিয়েছে। বাড়ির বাইরে নিরাপত্তায় দুই শিফটে দু’জন পুলিশ কনস্টেবলকে মোতায়েন করা হয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত ছুরির হাতল-সহ তৃতীয় টুকরোটি অভিনেতার বাড়ি থেকে এক কিলোমিটারেরও বেশি দূরে বান্দ্রা তালাওয়ের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে। এই ছুরির একটি টুকরো সেফের বাড়িতে পাওয়া গিয়েছিল। আর ফলাটি ভেঙে গেঁথে গিয়েছিল সেফের শিরদাঁড়ায়।