পরীক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করল পুলিশ। ছবি: পিটিআই।
পাবলিক সার্ভিস কমিশনের কম্বাইন্ড কম্পিটিটিভ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে পুনরায় পরীক্ষার দাবিতে বিক্ষোভরত পরীক্ষার্থীদের উপর লাঠিচার্জ করল পুলিশ। চাকরিপ্রার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামানও ব্যবহার করেছে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পটনা।
মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বাড়ির উদ্দেশে মিছিল করে যাওয়ার আগে রবিবার কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী গান্ধী ময়দানে জমায়েত করেছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি বৈঠকের। তবে সেই জমায়েতে পুলিশি অনুমোদন ছিল না। তা সত্ত্বেও এগোতে থাকলে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করার পাশাপাশি জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশন। চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিবাদে যোগ দিয়েছিলেন জন সুরাজ দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর। তাঁর প্রস্তাব ছিল, রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের বৈঠকের। যদিও ওই প্রস্তাবে নারাজ পরীক্ষার্থীরা।
চাকরিপ্রার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান। ছবি: পিটিআই।
প্রসঙ্গত, ১০ দিন ধরে চলছে এই বিক্ষোভ। ঘটনার সূত্রপাত, বাপু পরীক্ষা পরিসর নামক একটি কেন্দ্র থেকে প্রশ্ন ফাঁস হওয়া নিয়ে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বেনিয়মের অভিযোগ মেনে নিয়ে শুধু ওই কেন্দ্রে পুনরায় পরীক্ষার ব্যবস্থা করলেও সমগ্র পরীক্ষা বাতিল করা হবে না, বলে জানিয়েছিল। এই প্রসঙ্গে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক রাজেশকুমার সিংহ বলেন, ‘‘এপ্রিলে নির্ধারিত সূচি মেনেই পরীক্ষা হবে। কোনও ভাবেই পরীক্ষা বাতিল হবে না।’’ তিনি আরও বলেন,‘‘অনিয়মের যথেষ্ট প্রমাণ নেই। প্রতিবাদ জানাচ্ছেন খুব কম জনই।’’ তাঁর প্রস্তাব, বিক্ষোভ না দেখিয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতিতে জোর দেওয়া উচিৎ। পাল্টা, নিজেদের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীরাও অনড়। উল্লেখ্য, এর আগেও বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশনের দফতরে বিক্ষোভকারীরা ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠি চার্জ করে।
অনিয়মের অভিযোগ পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা মেনে নিয়ে সাফাই দিয়েছে, ৯০০টি কেন্দ্রে সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা পরিচালিত হয়েছিল। তাই পরীক্ষা বাতিল হবে না।