উত্তরপ্রদেশের এক রেস্তরাঁয় গোপন ক্যামেরা বসানোর অভিযোগ। — প্রতীকী চিত্র।
রেস্তরাঁর কেবিনের দরজায় ফুটো করে গোপন ক্যামেরায় ক্রেতাদের ছবি তোলার অভিযোগ উত্তরপ্রদেশে। ঔরেয়া জেলার ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে রেস্তরাঁর মালিক এবং তাঁর ব্যবসায়িক সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই রেস্তরাঁয় খেতে বসার জন্য ছোট ছোট পৃথক কেবিন রয়েছে। একসঙ্গে রেস্তরাঁয় আসা দুই বা তার বেশি ক্রেতার কোনও দল সেখানে একান্তে খেতে বসতে পারেন। প্রতিটি কেবিনের আলাদা দরজাও রয়েছে। অভিযোগ, সেই কেবিনের দরজা ফুটো করে গোপন ক্যামেরা বসানো হয়। কেবিনের ভিতরে থাকা ক্রেতাদের ভিডিয়ো তুলে পরে তা সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
সম্প্রতি এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কয়েকজন ক্রেতা। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পুলিশি তদন্তেও একই বিষয় উঠে আসে। কেবিনের দরজায় ফুটো করে গোপন ক্যামেরায় ভিডিয়ো তোলা হচ্ছিল বলে জানতে পারে পুলিশ। এর পরেই রেস্তরাঁর মালিক এবং তাঁর সঙ্গীকে গ্রেফতার করা হয়। ঔরিয়ার ডেপুটি পুলিশ সুপার ভরত পাসওয়ান জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ওই রেস্তরাঁটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কী কারণে গোপন ক্যামেরা বসিয়ে ক্রেতাদের ভিডিয়ো তুলে তা সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দিতেন অভিযুক্তেরা, তা জানতে তদন্ত করছেন পুলিশকর্মীরা। ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী দল। কিছু দিন আগেই তামিলনা়ড়ুর এক সরকারি হাসপাতালের শৌচালয়ে গোপন ক্যামেরা বসানোর অভিযোগে এক জুনিয়র ডাক্তারকে গ্রেফতার করে সে রাজ্যের পুলিশ। শৌচালয় পরিষ্কার করার ব্রাশের সঙ্গে রবার ব্যান্ড দিয়ে সেটি আটকে রাখা ছিল বলে অভিযোগ। হাসপাতালের এক নার্স সেটি দেখতে পান এবং খবর দেন কর্তৃপক্ষকে। পরে অভিযুক্ত জুনিয়র ডাক্তারকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।