—প্রতীকী চিত্র।
সেনা জওয়ানের পরিচয় ভাঁড়িয়ে সমাজমাধ্যমে তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব। পরে প্রেম। আসল পরিচয় প্রকাশ্যে আসার পর সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছিলেন তরুণী। অভিযোগ, এর পর ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ও ভিডিয়ো ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে একাধিক বার তরুণীকে ধর্ষণ করেছেন অভিযুক্ত। মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল ২০২৩ সালে। সেনা জওয়ানের পরিচয় ভাঁড়িয়ে সমাজমাধ্যমে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন অভিযুক্ত। সেখানেই আলাপ জমান নির্যাতিতার সঙ্গে। ক্রমে বন্ধুত্ব গভীর হয়। তবে এরই মধ্যে তরুণী জানতে পারেন ওই তরুণ আসলে সেনা জওয়ান নন। এক হস্টলে রাঁধুনির কাজ করেন তিনি। অভিযুক্তের আসল পরিচয় জানার পর সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছিলেন তরুণী। অভিযোগ, এর পরেই ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ও ভিডিয়ো ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকেন তরুণ। ওই ভয় দেখিয়েই একাধিক বার তরুণীকে ধর্ষণ করেছেন তিনি।
নির্যাতিতার বয়ানের ভিত্তিতে ধর্ষণের অভিযোগ-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অভিযুক্তের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। একটি সূত্র মারফত পুলিশ খবর পায়, অভিযুক্ত মহারাষ্ট্রে গা ঢাকা দিয়েছেন। সেই মতো মহরাষ্ট্রের নাগপুরেও পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়। শুক্রবারের ওই অভিযানেই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত তরুণকে।
এর আগে দিল্লিতেও এই ধরনের একটি অভিযোগ উঠে এসেছিল। সেনা আধিকারিকের পরিচয় ভাঁড়িয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগকারী ছিলেন এক আধাসেনা বাহিনীর মহিলা কনস্টেবল। ওই ঘটনাতেও বছর আঠাশের এক তরুণকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ।