Manipur Violence

মণিপুরে আবার অশান্তি, জিরিবাম জেলায় গুলির লড়াই মেইতেই এবং কুকি বাহিনীর, আক্রান্ত থানাও

পুলিশের দাবি, জিরিবামের জেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ঘেরা বরোবেকেরায় হামলা চালিয়েছে কুকি জঙ্গিরা। ‘জবাব’ দেন মেইতেই সশস্ত্র বাহিনী আরাম্বাই টেঙ্গলের যোদ্ধারাও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:৪৮
Share:

মণিপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনী। — ফাইল চিত্র।

মাস খানেকের বিরতির পরে নতুন করে অশান্তি ছড়াল মণিপুরের জিরিবাম জেলায়। শনিবার ভোর থেকে যুযুধান মেইতেই এবং কুকি সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় গুলির লড়াই হয়েছে। হামলা হয়েছে বরোবেকেরা থানায়।

Advertisement

পুলিশের দাবি, জিরিবামের জেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে পাহাড়-জঙ্গল ঘেরা বরোবেকেরায় হামলা চালিয়েছে কুকি জঙ্গিরা। ‘জবাব’ দেন মেইতেই সশস্ত্র বাহিনী আরাম্বাই টেঙ্গলের যোদ্ধারাও। সে সময় কুকিদের একাংশ থানায় হামলা চালায় বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরের গোড়ায় জিরিবাম জেলায় দু’গোষ্ঠীর গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছিলেন পাঁচ জন।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দিল্লিতে শান্তি ফেরাতে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করেছে চলতি সপ্তাহে। তারই মধ্যে নতুন করে হিংসা ছড়াল উত্তর-পূর্বের বিজেপি শাসিত রাজ্যে। ২০২৩ সালের ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত। মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই সংঘাতের সূচনা হয় সেখানে। মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জ়ো-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত প্রায় দুশো জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়ার সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement