ভোজশালার অন্দর। ছবি: সংগৃহীত।
বিতর্কিত ভোজশালা চত্বরে নমাজের আপত্তি জানিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছিল হিন্দুত্ববাদীদের তরফে। বুধবার ওই আবেদনের জেরে কেন্দ্র এবং ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআই)-এর মত জানতে চাইল মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট।
মধ্যপ্রদেশের ধার শহরে প্রায় হাজার বছরের পুরনো ওই কামাল মাওলানার দরগা এবং মসজিদ রয়েছে এএসআই-এর তত্ত্বাবধানে। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, সৌধটি আসলে রাজা ভোজের তৈরি প্রাচীন সরস্বতী মন্দির। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতি মঙ্গলবার হিন্দুদের পুজো দিতে দেওয়া হয় ভোজশালায়। মুসলিমদের শুক্রবারে নমাজ পড়তে দেওয়া হয়।
সপ্তাহের অন্যান্য দিন যে কেউ প্রবেশ করতে পারেন। তবে সেই দিনগুলিতে কাউকে পুজো দিতে বা নমাজ পড়তে দেওয়া হয় না এই ঐতিহাসিক সৌধে। কিন্তু সেই ব্যবস্থায় ইতি টানতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী হরিশঙ্কর জৈন বুধবার বলেন, ‘‘আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার ২০০৩ সালের একটি নোটিসের জেরে মুসলিমদের ভোজশালায় নমাজের অধিকার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুরাতাত্ত্বিক প্রমাণ খতিয়ে দেখলে বোঝা যাবে, সেটি আসলে হিন্দু মন্দির।”