জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি পুলিশের। ছবি: পিটিআই।
রবিবারের পর আবার বুধবার। কাশ্মীরের বারামুলায় এ বাড়িতে ঢুকে এক কনস্টেবলকে গুলি করে হত্যা করল জঙ্গিরা। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার নিজের বাড়িতেই ছিলেন কনস্টেবল গুলাম মহম্মদ দার। আচমকাই বেশ কয়েক জন জঙ্গি ওই পুলিশকর্মীর বাড়িতে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। গুলির আওয়াজে কনস্টবেল দার বেরিয়ে এলেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। তার পরই পুলিশকর্মীর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় তারা।
গুলির আওয়াজে আশপাশের লোকেরাও ছুটে আসেন। তত ক্ষণে জঙ্গিরা পালিয়ে গিয়েছিল। ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। গুরুতর জখম অবস্থায় কনস্টেবলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কনস্টেবল দারের বাড়ি বারামুলার কারালপোরা গ্রামে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের তরফে এই ঘটনার জন্য শোকপ্রকাশ করে বলা হয়েছে, “পুলিশকর্মীর পরিবারের সঙ্গে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করা হবে। কনস্টেবল গুলাম মহম্মদ দারের পরিবারের পাশে থাকবে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ।”
এই ঘটনার পরই কারালপোরা গ্রামটিকে ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালানো শুরু হয়েছে। জঙ্গিদের খোঁজ চলছে জোরকদমে। গত রবিবারে শ্রীনগরে এক পুলিশ ইনস্পেক্টরকে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। নিহত ইনস্পেক্টরের নাম মসরুর আহমদ ওয়ানি। রবিবার তিনি ইদগা এলাকায় একটি মাঠে ক্রিকেট খেলছিলেন। সেই সময় জঙ্গিরা এসে তাঁর উপর হামলা চালায়। তিনটি গুলি করা হয় ইনস্পেক্টরকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ জানিয়েছে, এই হামলার দায় স্বীকার করেছে লস্কর-ই-তইবার মদতপুষ্ট দ্য রেজিসট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ)। সেই ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই আরও এক পুলিশকর্মী খুন হলেন উপত্যকায়।
শুধু পুলিশকর্মীই নয়, মঙ্গলবার এক পরিযায়ী শ্রমিককেও খুন করে জঙ্গিরা।