এই সেই গ্রাম।
গ্রামে নাকি দোতলা বাড়ি বানানোই দুষ্কর! কেউ যদি ভুল করেও দোতলা বাড়ি বানান, তা হলে তাঁর পরিবারে নাকি নেমে আসবে ভয়ানক বিপদ। আর সেই ভয়েই গত ৭০০ বছর ধরে দোতলা বাড়ির মুখ দেখেনি এই এলাকা।
রাজস্থানের চুরু জেলার সর্দারশহরের উদসর গ্রাম। প্রচলিত বিশ্বাস যে, কোনও গ্রামবাসী দোতলা বাড়ি বানালেই সে পরিবার তছনছ হয়ে যাবে। আর সেই বিশ্বাসই ৭০০ বছর ধরে অক্ষরে অক্ষরে পালন করে চলেছে এই গ্রাম।
স্থানীয়দের দাবি, ৭০০ বছর আগে গ্রামে গোমিয়া নামে এক ব্যক্তি ছিলেন। এক দিন গ্রামে ডাকাতরা হামলা চালায়। একমাত্র গোমিয়াই ডাকাতদলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। ডাকাতদের সঙ্গে লড়াই করার সময় আহত হন। কোনও মতে পালিয়ে গ্রামেই তাঁর শ্বশুরবাড়ির দোতলায় আশ্রয় নেন। ভেবেছিলেন ডাকাতরা আর পিছু করবে না। কিন্তু ডাকাতরাও তাঁকে অনুসরণ করে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে হাজির হয়। সেখানেও এক প্রস্থ লড়াই হয়। গ্রামের সীমানায় গোমিয়ার শ্বশুরবাড়িতেই তাঁকে গলা কেটে হত্যা করে ডাকাতরা।
স্বামীর মৃত্যুতে প্রায় পাগলের মতো অবস্থা হয় তাঁর স্ত্রীর। গোমিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী নাকি অভিশাপ দিয়েছিলেন এই গ্রামে কেউ দোতলা বাড়ি বানালে সেই পরিবারে বিপদ নেমে আসবে। এই বিশ্বাসকেই বছরের পর বছর ধরে বহন করে চলেছেন উদসরের বাসিন্দারা। আরও আশ্চর্যের বিষয় হল, এই গ্রামে গোমিয়ার একটি মন্দিরও আছে। গ্রামবাসীরা সেখানে পুজো করেন।