মেয়েকে যৌন হেনস্তার অভিযোগে ধৃত বাবা। প্রতীকী চিত্র
মেয়ে নাকি সর্বদা মোবাইল ফোন নিয়ে মজে থাকে। বারণ করেও কাজ হয়নি। তাই ১৫ বছরের কন্যাকে রাগের বশে দিনের পর দিন যৌন নির্যাতন করতেন বাবা! চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বিশাখাপত্তনমে। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, নাবালিকা কন্যা বেশি সময় কাটাত ফোনে। এই রাগেই নাকি ৪২ বছরের বাবা তাকে একাধিক বার যৌন নির্যাতন করেন। যদিও ভয়ে ও লজ্জায় প্রথমে মুখ খুলতে পারেনি নাবালিকা। পরে এক শিক্ষককে সব খুলে বলে সে। সব শুনে স্তম্ভিত হয়ে যান শিক্ষক। তিনি তৎক্ষণাৎ ডেকে পাঠান অভিযুক্ত বাবাকে।
ওই শিক্ষকের দাবি, প্রৌঢ় স্বীকারও করে নেন যে তিনিই মেয়েকে যৌন নির্যাতন করেছেন। কৃতকর্মের জন্য তাঁর কাছে ক্ষমাও চান। অবশ্য গত শনিবার নাবালিকাকে নিয়ে থানায় যান শিক্ষক। ৪২ বছরের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ দায়ের হয় থানায়।
এ দিকে পুলিশি তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ জানতে পারে, বছর দুই আগে অভিযুক্তের কিডনি বিকল হয়ে গিয়েছিল। তখন স্ত্রী তাঁকে কিডনি দান করেন। কিন্তু এর পর স্ত্রী নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। অতঃপর স্বামী তাঁকে পাঠিয়ে দেন বাপের বাড়ি। মেয়ে থাকত বাবার কাছে। আর তার পর দিনের পর দিন মেয়েকে যৌন হেনস্থা করে আসছিলেন জন্মদাতা!