নির্বাচনে কারচুপি করতে গিয়েই ফাঁস পঞ্চায়েত সদস্যের কীর্তি। প্রতীকী ছবি।
বাংলায় একটা প্রবাদ আছে ‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’। অতিরিক্ত লোভ করতে গিয়ে শেষমেশ নিলম্বিত (সাসপেন্ড) হলেন মধ্যপ্রদেশের এক পঞ্চায়েত সচিব।
রাজ্যের সিঙ্গরাউলি জেলায় পঞ্চায়েত প্রধান পদের জন্য নির্বাচন হচ্ছে। তিন স্ত্রীর মধ্যে দুই স্ত্রীকে এই পদের জন্য একে অন্যের বিরুদ্ধে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছিলেন পঞ্চায়েত সচিব সুখরাম সিংহ। কিন্তু তাঁর যে তৃতীয় স্ত্রী রয়েছে সেই তথ্য বেমালুম চেপে গিয়েছিলেন। এবং সেই স্ত্রীকে অন্য একটি পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করান সুখরাম।
সুখরামে দুই স্ত্রী কুসুকলি সিংহ এবং গীতা সিংহ পিপাড়খাড় গ্রাম পঞ্চায়েতে পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর তৃতীয় স্ত্রীকে আবার জনপদ পঞ্চায়েত থেকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করান সুখরাম। মনোনয়ের সময় কুসুকলি এবং গীতা স্বামী হিসেবে সুখরামের নাম লেখেন। এ পর্যন্ত সব ঠিক ছিল।
সুখরাম ভেবেছিলেন, তৃতীয় স্ত্রীর কথা কেউ জানতে পারবে না। ফলে দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েতেরই ক্ষমতা তাঁর দখলে থাকবে। সুখরাম যেমনটি ভেবেছিলেন, হল ঠিক তার বিপরীত। জনপদ গ্রাম পঞ্চায়েতে তাঁর তৃতীয় স্ত্রী উমা সিংহও স্বামীর নামের জায়গায় সুখরামের নাম উল্লেখ করেন। আর এখানেই ধরা পড়ে যান সুখরাম।
সেই খবর চাউর হতেই শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনে বরখাস্ত করা হয় সুখরামকে। দেওসার জনপদের চিফ এগজিকিউটিভ বিকে সিংহ জানান, পঞ্চায়েতের যে সব কর্মীর পরিবারের সদস্য নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন তাঁদের সম্পর্কে পুরো তথ্য দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সুখরাম তাঁর দুই স্ত্রীর কথা উল্লেখ করলেও, তৃতীয় স্ত্রীর বিষয়টি গোপন করেছিলেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সুখরামকে নিলম্বিত করা হয়েছে।