হেমন্ত সোরেন। ফাইল চিত্র।
ঝাড়খণ্ডের জমি দুর্নীতি মামলায় আরও এক ব্যক্তিকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)। ধৃতের নাম মহম্মদ সাদ্দাম। অন্য একটি জমি মামলায় ভুয়ো নথিপত্র তৈরির অভিযোগে আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন সাদ্দাম। কিন্তু ইডি সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডে যে জমি দুর্নীতি মামলায় হেমন্ত সোরেন গ্রেফতার হয়েছিলেন, সেই মামলাতেই এ বার তাঁকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
ইডি সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডে যে জমি দুর্নীতি হয়েছে, সেই মামলার সঙ্গে সাদ্দামের ঘনিষ্ঠ যোগ পাওয়া গিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির দাবি, যে জমি অবৈধ ভাবে অধিগ্রহণ করার অভিযোগ উঠেছে হেমন্তের বিরুদ্ধে, রাঁচীর সেই ৮.৮৬ একর জমির ভুয়ো নথি তৈরি করেছিলেন এই সাদ্দাম। জমির ভুয়ো নথি বানানোর অভিযোগে আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন সাদ্দাম। নতুন করে এই মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করল ইডি।
জমি দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত চালাতে গিয়ে ঝাড়খণ্ডের রাজস্ব বিভাগের এক প্রাক্তন আধিকারিক ভানু প্রতাপকে আগে গ্রেফতার করেছিল ইডি। ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল এই মামলায় তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। শুধু ভানু প্রতাপই নয়, সাদ্দাম, ইমতিয়াজ আহমেদ, তলহা খান, ফৈয়াজ খান-সহ বেশ কয়েক জনের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির দাবি, সেই তল্লাশি অভিযানে জমি দুর্নীতি সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি তাদের হাতে আসে। ভানু প্রতাপের বাড়ি থেকেও এই মামলা সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়। এর পরই ২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল তাঁকে গ্রেফতার করে। তার পরে এই মামলায় সরকারি আধিকারিক ছবি রঞ্জন, ব্যবসায়ী বিষ্ণু আগরওয়াল-সহ আরও কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে এই মামলায় গ্রেফতার করা হয় হেমন্ত সোরেনকে।