Cash for Query

দলের অবস্থান একই আছে, কিন্তু মহুয়াকে ডাকায় এত তাড়া কেন এথিক্স কমিটির? প্রশ্ন তুললেন কুণাল ঘোষ

এথিক্স কমিটি মহুয়াকে চিঠি দিয়ে জানায়, ৩১ অক্টোবর তাঁকে হাজিরা দিতে হবে। কিন্তু মহুয়া শুক্রবার চিঠি লিখে জানান, ওই দিন তিনি যেতে অপারগ। ৫ নভেম্বরের পর থেকে যে কোনও দিন তিনি যেতে পারবেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ২২:৩২
Share:

(বাঁ দিকে) মহুয়া মৈত্র। কুণাল ঘোষ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে ডাকাডাকির বিষয়ে এত ‘তাড়া’ কেন লোকসভার এথিক্স কমিটির, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শনিবার তিনি জানান, মহুয়ার ব্যাপারে দলের অবস্থান একই রয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, এথিক্স কমিটির এত তাড়া কেন? মহুয়া তো বলেননি যে, তিনি যাবেন না! কুণালের এই মন্তব্য তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ সমীকরণের ক্ষেত্রে ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মত অনেকের।

Advertisement

মহুয়ার বিরুদ্ধে ‘টাকা ও উপহার নিয়ে প্রশ্ন’ তোলার অভিযোগের তদন্তে ইতিমধ্যেই অভিযোগকারী বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে ও তাঁর প্রাক্তন বন্ধু জয় অনন্ত দেহাদ্রাইকে ডেকে কথা বলেছে এথিক্স কমিটি। তার পর মহুয়াকে চিঠি দিয়ে কমিটি জানায়, ৩১ অক্টোবর কমিটির সামনে কৃষ্ণনগরের সাংসদকে হাজিরা দিতে হবে। কিন্তু মহুয়া শুক্রবার চিঠি লিখে এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান বিনোদ সোনকরকে জানান, ৩১ তারিখ তাঁর পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি রয়েছে। তাঁর সংসদীয় কেন্দ্রে বিজয় সম্মলন রয়েছে। আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি ব্যস্ত। ৫ নভেম্বরের পর যে কোনও দিন, যে কোনও সময় তাঁকে ডাকা হলে, তিনি যেতে পারবেন। কিন্তু শনিবার নতুন করে চিঠি পাঠিয়ে মহুয়াকে ২ নভেম্বর ডেকে পাঠিয়েছে এথিক্স কমিটি।

এর পরেই এথিক্স কমিটির ‘তাড়া’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কুণাল। তিনি বলেন, ‘‘মহুয়ার ব্যাপারে দলের অবস্থান একই রয়েছে। ডেরেক ও’ব্রায়েন তা আগেই বলেছেন। কিন্তু এথিক্স কমিটির এত তাড়া কেন? মহুয়া তো বলেননি যে, তিনি যাবেন না!’’ তাঁর কথায়, ‘‘মহুয়া এক জন সাংসদ। সবে পুজো মিটেছে। তাঁর কেন্দ্রে ১০ খানা কর্মসূচি থাকতে পারে। এক বার চিঠি দিয়ে জানানোর পর ফের তাঁকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’’ সেই সঙ্গে কুণালের মন্তব্য, ‘‘এথিক্স কমিটির যদি এতই তাড়া তা হলে শুভেন্দুর ঘুষকাণ্ডের পর তাঁকে ডাকেননি কেন? মহুয়ার বেলায় ছ’দিন তর সইছে না আর শুভেন্দুর বেলায় কেন ছ’বছর ধরে ঘুমিয়ে ছিলেন? শুভেন্দুর নাম তো সিবিআইয়ের এফআইআরে রয়েছে।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, মহুয়া-প্রসঙ্গে দল বা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন সাংসদের পাশে দাঁড়িয়ে বিবৃতি দিলেন না, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা রয়েছে। মহুয়াকেও এমন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে শুক্রবার। এর আগে কুণাল বলেছিলেন, ‘‘যাঁকে কেন্দ্র করে বিষয়টি, তিনিই ভাল বলতে পারবেন। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের এই নিয়ে কোনও বক্তব্য নেই।’’ আর গত ২২ অক্টোবর ডেরেক বলেছিলেন, ‘‘এ বিষয়ে ‘সংবাদমাধ্যমে যে রিপোর্ট’ প্রকাশিত হয়েছে, তা দেখেছে দল। তদন্তের পর যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘মহুয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করার পরামর্শ দিয়েছে দল। মহুয়া ইতিমধ্যেই তা করেছেন। যে হেতু এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন এক জন নির্বাচিত সাংসদ, তাই এই নিয়ে আগে তদন্ত করুক সংসদীয় প্যানেল। তার পরেই উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেবে দল।’’

কুণাল শনিবার জানিয়েছেন, দলের অবস্থান একই রয়েছে। কিন্তু এথিক্স কমিটির ‘তাড়াহুড়ো’ নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement