National News

যোগীর ‘বদলা’ মন্তব্যের পর এ বার রামপুরের ২৮ জনকে নোটিস!

শনিবার উত্তরপ্রদেশের রামপুরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ নিহত হন এক যুবক।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রামপুর (উত্তরপ্রদেশ) শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৯:৪৫
Share:

ছবি: পিটিআই।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর প্রতিবাদে উত্তরপ্রদেশে হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার কথা বলেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ওই মন্তব্যের পর মুজফ্‌ফরনগরের ৬০টিরও বেশি দোকানে ঝোলানো হয়েছিল তালা। এ বার রামপুরে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগে নোটিস দেওয়া হল সেখানকার ২৮বাসিন্দাকে। সেই সঙ্গে মেরঠের ৫১৭ জন আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সধারীকেও নোটিস ধরানো হয়েছে।

Advertisement

গত সপ্তাহে সিএএ এবং এনআরসি-বিরোধী প্রতিবাদ-বিক্ষোভ-হিংসায় উত্তাল হয় উত্তরপ্রদেশ। লখনউ, মুজফ্‌ফরনগর, সম্ভল-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় হিংসার বলি হন ১৭ জন। ২১ ডিসেম্বর, শনিবার উত্তপ্ত হয় রামপুর। সেখানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ নিহত হন এক যুবক। আহত হন দু’পক্ষেরই বহু। ওই যুবকের মৃত্যুর খবরে পুলিশের চারটি মোটরবাইক ও একটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে পাথর। পাল্টা হিসাবে লাঠিচার্জ করে, কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের হঠানোর চেষ্টা করে পুলিশ। সে সময়ই গুলিচালনার ঘটনাও ঘটে। প্রশাসনের দাবি, ওই হিংসায় প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। ফলে হিংসায় জড়িতদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেই সেই ক্ষতিপূরণ করা হবে। কানপুরের জেলাশাসক অঞ্জনেয় কুমার সিংহ বলেন, ‘‘২১ ডিসেম্বরের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সরকারি সম্পত্তি নষ্টকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের নামও পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছে। সরকারি সম্পত্তির কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তারও হিসাব শেষ। ২৮ জনকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’’

আরও পড়ুন: দলের মধ্যে বৈষম্য! বিস্ফোরক দিল্লি বিজেপি নেত্রী শাজিয়া ইলমি

Advertisement

আরও পড়ুন: কমানো হল তেন্ডুলকরের সুরক্ষা, নিরাপত্তা বাড়ল আদিত্য ঠাকরের

আরও পড়ুন: বিতর্ক উস্কে এনপিআর খাতে টাকা, এনআরসি-র শুরু, বলছেন বিরোধীরা

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, রামপুরে হিংসার ঘটনায় মোট ১৪ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকার সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। ওই ঘটনায় ৩১ জনকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি হিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগে দেড়শোরও বেশি ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই ঘটনার আগে লখনউ ও সম্ভলে যে তাণ্ডব চলেছিল, তার পর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করায় যাঁরা জড়িত, তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নিলামে চড়িয়ে ক্ষতিপূরণ করা হবে। আমাদের কাছে সব ঘটনার ভিডিয়ো এবং সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। আমরা বদলা নেব‌।’’ এর পরই দেখা যায়, মুজফ্‌ফরনগরের ৬০টিরও বেশি দোকান বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। এ বার প্রশাসনের ‘কোপে’ রামপুরের বাসিন্দারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement