প্রযুক্তিগত সমস্যায় গ্রাহকের কাছে গেল ‘ভুল’ বিল। —ফাইল চিত্র।
কোনও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নয়, কোনও অফিসও নয়। সাধারণ বসত বাড়ি। সেই বাড়িতেই নাকি গত তিন মাসের বিদ্যুতের বিল এসেছে চার কোটি টাকার উপরে! সম্প্রতি এমনই এক ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের নয়ডার বাসিন্দা বসন্ত শর্মা। উত্তরপ্রদেশ বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম থেকে তাঁর মোবাইলে মেসেজ গিয়েছে। সেখানে তিন মাসের বিল দেখাচ্ছে, ৪ কোটি ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪১ টাকা!
নয়ডার সেক্টর ১২২-এ শ্রমিক কুঞ্জে ওই বাড়িটিতে ভাড়ায় থাকেন বসন্ত। পেশায় রেলকর্মী। এখন শিমলায় প্রশিক্ষণ চলছে তাঁর। বসন্তের দাবি, নয়ডার ওই বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ তাঁর স্ত্রী প্রিয়ঙ্কার নামে নেওয়া। গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁর মোবাইলে এসএমএস আসে বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম থেকে। সেখানে উল্লেখ ছিল, গত তিন মাসে নাকি ৪ কোটি টাকার উপরে বিদ্যুতের বিল এসেছে তাঁদের বাড়িতে। অথচ, বাড়িতে খুব সাধারণ কিছু বৈদ্যুতিন সামগ্রী রয়েছে বলেই দাবি বসন্তের।
মোবাইলে আসা ওই বিলে এটাও বলা ছিল, যদি ২৪ জুলাইয়ের আগে টাকা জমা দেওয়া হয়, তা হলে তাঁকে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৬৯ টাকা ছাড় দেওয়া হবে। মেসেজে এই বিল আসার পর বসন্ত যোগাযোগ করেন বাড়ির মালিকের সঙ্গে। পরে ওই এলাকার আবাসিকদের সংগঠনের তরফে বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমকে অভিযোগ জানানো হয়।
যদিও এ বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের বক্তব্য, “কম্পিউটারে কোনও প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ওই স্বয়ংক্রিয় মেসেজটি চলে গিয়েছিল গ্রাহকের মোবাইলে। তবে বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের সিস্টেমে ওই বিলটি সংশোধন করে নতুন বিল পাঠানো হয়েছে বসন্তকে। সংশোধনের পর তিন মাসের জন্য বসন্তের বিল এসেছে ২৬ হাজার টাকা।”