মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনার পরের দৃশ্য। ছবি: পিটিআই।
পদপিষ্টের ঘটনার পরেই বড় রদবদল কুম্ভে! ভিড় এবং ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের নতুন নির্দেশিকা জারি করল উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। ভিড় সামাল দিতে মেলাপ্রাঙ্গণে গাড়ি প্রবেশের উপর জারি হল কড়া নিষেধাজ্ঞা। বাতিল হল ভিভিআইপি পাসও।
মঙ্গলবার গভীর রাতে প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ৩০ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৬০। উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে উদ্ধৃত করে বুধবার সংবাদ সংস্থা পিটিআই এই সংখ্যা জানিয়েছে। এর পরেই প্রয়াগরাজ, বারাণসী, অযোধ্যা, মির্জাপুর, জৌনপুর, চিত্রকূট, রায়বরেলী প্রভৃতি জেলার সিনিয়র পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে ভিডিয়ো বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বুধবার রাতের ওই বৈঠকের পরেই বেশ কিছু নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এখন থেকে মেলাপ্রাঙ্গণে কোনও রকমের যানবাহন প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হবে না। ভিভিআইপি পাস বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ পাস সঙ্গে থাকলেও এখন থেকে মেলাপ্রাঙ্গণে গাড়ি নিয়ে প্রবেশের অনুমতি পাওয়া যাবে না। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শহরে গাড়ি চলার উপরে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এখন থেকে প্রয়াগরাজ সংলগ্ন জেলাগুলি থেকে আসা গাড়িগুলিকে প্রয়াগরাজে ঢোকার সময়েই আটকে দেওয়া হবে। এ ছাড়া, রাস্তার পাশের স্টলগুলির কারণে যাতে অন্য যানবাহন কিংবা মানুষের চলাচলে বিঘ্ন না ঘটে, তা-ও খেয়াল রাখা হবে। মেলা এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানো হবে। মেলাপ্রাঙ্গণের বিভিন্ন পয়েন্টে খাবার ও পানীয় জলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রয়াগরাজ থেকে ফেরার সমস্ত রুটও খুলে দিতে হবে।
প্রয়াগরাজের ডিআইজি বৈভব কৃষ্ণ বুধবার সন্ধ্যায় সরকারি ভাবে হতাহতের সংখ্যা জানান। জানানো হয় দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণও। যোগী সরকারের দাবি, মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে মঙ্গলবার কয়েক কোটি পুণ্যার্থী ত্রিবেণী সঙ্গমে উপস্থিত হয়েছিলেন। রাত থেকে ভিড় বাড়তে শুরু করে। ঘাটের কাছে অতিরিক্ত ভিড়ের চাপে এক সময় ব্যারিকেড ভেঙে যায় বলে অভিযোগ। অনেকে পড়ে যান। হুড়োহুড়িতে তাঁদের মাড়িয়ে চলে যান অনেকে। গুরুতর আহত অবস্থায় পুণ্যার্থীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।