ফাইল ছবি।
কাশ্মীর উপত্যকায় বড়সড় তল্লাশি অভিযানে নামল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। জোড়া মামলায় কাশ্মীরের ১৬টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় এনআইএ। আইএস-এর ভারতীয় মুখপত্র হিসেবে পরিচিত ‘ভয়েজ অব হিন্দ’-এর তথ্য জানতে যেমন এই তল্লাশি, তেমনই সাম্প্রতিককালে উপত্যকায় সাধারণের উপর জঙ্গি হামলায় অভিযুক্ত দ্য রেজিসট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ)-এর সদস্যদের বাড়িতেও তল্লাশি চালান এনআইএ-র গোয়েন্দারা। এরই মধ্যে সাম্প্রতিক সাধারণ মানুষের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ ৫৭০ জনকে আটক করেছে। তার মধ্যে অনেকেই যুবক।
জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর ভারতীয় মুখপত্র ‘ভয়েজ অব হিন্দ’। ২০২০-র ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই জঙ্গি সংগঠনটি মাসিক অনলাইন পত্রিকাটি প্রকাশ করছে। কাশ্মীর উপত্যকায় যুবকদের আরও বেশি করে ধর্মীয় মৌলবাদী কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ার নেপথ্যে ওই পত্রিকার প্রবল প্রভাব দেখছেন গোয়েন্দারা। সেই সূত্রেই শ্রীনগর, অনন্তনাগ, বারামুলা, কুলগামের বিভিন্ন ঠিকানায় অভিযান চালায় এনআইএ।
রবিবার এনআইএ অভিযান চালায় আরিপোরা জেওয়ানের বাসিন্দা নঈম আহমেদ ভাটের বাড়িতে। একটি রাস্তা নির্মাণ সংস্থায় গাড়ি চালকের চাকরি করেন নঈম। এনআইএ-এর দ্বিতীয় গন্তব্য ছিল, বাগি নন্দ সিংহ চট্টওয়ালের বাসিন্দা মুস্তাক আহমেদ দারের বাড়ি। সেখান থেকে মোট ৫টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা।
এ ছাড়া উপত্যকার সোলিনা পায়িনের বাসিন্দা সুহেল আহমেদ ভাটের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় এনআইএ। বাহাউদ্দিন সাহাব নওহাট্টা নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তাঁর কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে এনআইএ। ক্রীড়া সরঞ্জাম বিক্রির সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তির বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চলে।
শুধু ‘ভয়েজ অব হিন্দ’-ই নয়, কাশ্মীর উপত্যকায় ইদানীং সকলের নজরের কেন্দ্রে রয়েছে টিআরএফ। মূলত লস্কর-ই-তইবার শাখা সংগঠন হিসেবে কাশ্মীরে কাজ শুরু করলেও গোয়েন্দাদের কাছে খবর, বর্তমানে হিজবুল মুজাহিদিন ও জইশ-ই-মহম্মদের মতো উপত্যকায় সক্রিয় জঙ্গি দলের সঙ্গেও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে টিআরএফ। কাশ্মীরে সাম্প্রতিককালে প্রায় সমস্ত জঙ্গি হামলার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে টিআরএফ-এর। টিআরএফ-এর কমান্ডার সাজ্জাদ গুলের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় এনআইএ।