নিহত নেতা বাবা সিদ্দিকি। — ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে খুনের ঘটনার তদন্তে ফের উঠে এল নয়া তথ্য। জানা গেল, লরেন্স বিশ্নোই গ্যাং এবং ফেরার আর এক অভিযুক্ত শুভম লোনকারের যৌথ নির্দেশেই গুজরাতের একটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছিল। তার জন্য খোলা হয়েছিল নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও।
মুম্বই পুলিশের অপরাধদমন শাখা জানিয়েছে, টাকা দেওয়া-নেওয়ার জন্য গুজরাতে কর্নাটক ব্যাঙ্কের আনন্দ জেলা শাখায় সলমন ভোহরার নামে অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের আলাদা আলাদা এটিএম থেকে দফায় দফায় মোট ছ’লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছিল। কখনও আবার ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং ব্যবহার করে টাকা লেনদেনও করা হয়। তবে টাকার বড় অঙ্ক এসেছিল পঞ্জাব ও হরিয়ানা থেকে।
সিদ্দিকি খুনে জড়িত থাকার অপরাধে সপ্তাহদুয়েক আগেই সুমিত বাঘ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল মুম্বই পুলিশ। জেরায় জানা যায়, সুমিতের তত্ত্বাবধানেই শুটার গুরনেল সিংহের ভাই নরেশকুমারকে টাকা পাঠানো হয়েছিল। শুধু নরেশ নয়, সিদ্দিকি-খুনে জড়িত বাকিদেরও আর্থিক সাহায্য করা হয়েছিল সুমিতেরই দায়িত্বে। আর সেই টাকাই খুনের কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল বলে সন্দেহ পুলিশের।
তদন্তকারী এক অফিসার জানান, খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত শুভম লোনকারের নির্দেশে টাকা লেনদেনের কাজ হয়েছিল। তিনিই সুমিতদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতেন। এ ছাড়া, জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্নোইয়ের ভাই আনমোলও এ সংক্রান্ত নির্দেশ দিতেন বলে জানা গিয়েছে। কার কার হাত ঘুরে সলমনের কাছে টাকা পৌঁছত, আপাতত তদন্তে সেটুকুই জানা গিয়েছে। টাকা লেনদেনের মাধ্যমটিও প্রকাশ্যে এসেছে। তবে এখনও টাকা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত সকলকে চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ।
গত ১২ নভেম্বর বান্দ্রাতে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন সিদ্দিকি। ওই খুনের নেপথ্যে বিশ্নোই গ্যাংয়ের যোগ থাকার প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি করেন তদন্তকারীরা। সিদ্দিকিকে খুন করতে দীর্ঘ দিন ধরে বড় ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। এই ঘটনায় অনেকে জড়িত ছিলেন। কাউকে অস্ত্র সংগ্রহ করতে, কাউকে আবার বাইকের ব্যবস্থা করতে, আবার কাউকে টাকা লেনদেনের জন্য খুনের পরিকল্পনায় জোড়া হয়েছিল। পুলিশ একে একে সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করছে। তবে এখনও পর্যন্ত ঘটনার দুই মূল অভিযুক্ত শুভম এবং জ়িশান আখতার অধরা।