প্রকাশ্যে এল একটি সিসিটিভি ফুটেজ, যেখানে দেখা গিয়েছে জেলের কুঠুরিতে বসে ফল, স্যালাড খাচ্ছেন সত্যেন্দ্র। — নিজস্ব চিত্র।
ওজন কমে গিয়েছে আঠাশ কেজি। যথেষ্ট খাবার দেওয়া হচ্ছে না জেলে। আদালতে এমন অভিযোগই করেছিলেন দিল্লির জেলবন্দি মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। তার এক দিন পরেই প্রকাশ্যে এল একটি সিসিটিভি ফুটেজ, যেখানে দেখা গিয়েছে জেলের কুঠুরিতে বসে ফল, স্যালাড খাচ্ছেন সত্যেন্দ্র। প্লাস্টিকের বাক্স থেকে খাবারও খাচ্ছেন। তা নিয়ে ফের বিতর্ক। যদিও ওই সিসিটিভি ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
তিহাড় জেলের একটি সূত্র বলছে, প্রকাশ্যে আসা ফুটেজ সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসের তিনটি দিনের। সূত্রটির দাবি, এই ফুটেজ থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, সত্যেন্দ্রের পর্যাপ্ত খাবার না পাওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। ওই সূত্রটি আরও জানিয়েছে, জেলে থেকে দিল্লির মন্ত্রীর ওজন আঠাশ কেজি কমেনি। বরং ৮ কেজি বেড়েছে।
সম্প্রতি সত্যেন্দ্র জৈনের হাজতবাসের আরও একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, এক ব্যক্তি তাঁকে মাসাজ করছেন। আম আদমি পার্টি (আপ)-র দাবি, মন্ত্রীর ফিজিয়োথেরাপি চলছিল। পরে তিহাড় জেলের একটি সূত্র দাবি করে, ওই ব্যক্তি কোনও ফিজিয়োথেরাপিস্ট নন। বরং নিজের মেয়েকে ধর্ষণে অভিযুক্ত। তা নিয়ে কেজরীওয়াল সরকারের দিকে আঙুল তোলে বিজেপি। পুরভোটের আগে সরগরম হয়ে ওঠে দিল্লির রাজনীতি।
তার মধ্যেই আদালতে অভিযোগ করেন সত্যেন্দ্র। অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, গত ছ’মাসে শুধুই ফল, সব্জি, দানাশস্য, শুকনো ফল এবং খেজুর খেয়ে রয়েছেন। প্রত্যেক জেলবন্দির জন্য যে রেশন বরাদ্দ থাকে, তার আওতায় ওই ফলমূল কিনে খেয়েছেন বলে দাবি সত্যেন্দ্রের। তাঁর আইনজীবী দাবি করেছেন, জেলে পড়ে গিয়ে চোট পেয়েছেন সত্যেন্দ্র। সে জন্য এলএনজেপি হাসপাতালে চিকিৎসাও চলছে। কোভিড পরবর্তী সময়ে তাঁর ফুসফুসে প্যাচ দেখা দিয়েছে।
সত্যেন্দ্রর আইনজীবীর আরও দাবি, এই পরিস্থিতিতে গত ছ’মাস ধরে ধর্মীয় উপবাস করছেন। তা সত্ত্বেও তাঁকে ফল, সব্জি, শুকনো ফল, খেজুর দিচ্ছেন না জেল কর্তৃপক্ষ। এর ফলে সত্যেন্দ্রর শরীরে ‘প্রোটিন ও আয়রনের ঘাটতি’ হতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁর। এই অবস্থায় প্রকাশ্যে এল ফল, স্যালাড খাওয়ার ফুটেজ। টাকা নয়ছয় এবং দুর্নীতি অভিযোগে জেলে আছেন দিল্লির এই মন্ত্রী। গত সপ্তাহে তাঁর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে।