প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
২০২৪ সালের সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট-ইউজির কাউন্সেলিং পিছিয়ে দেওয়া হল। আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)-র তরফে এর আগে সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হয়েছিল শনিবার (৬ জুলাই) থেকে নিট-ইউজির কাউন্সেলিং শুরু হবে। কিন্তু শনিবার তা অনির্দিষ্ট কালের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। আগামী সোমবার শীর্ষ আদালতে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
নিট-ইউজিতে প্রশ্নফাঁসকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে দেশ জুড়ে। ইতিমধ্যেই প্রশ্ন বিক্রির অভিযোগে কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। এই আবহে ২০২৪-এর নিট-ইউজি বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা হয়েছে। সেই মামলায় শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে হলফনামা দিয়ে আদালতে জানানো হয়েছিল, পরীক্ষা বাতিল করার কোনও যুক্তি নেই। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের যুক্তি ছিল, পুরো পরীক্ষা বাতিল হলে লক্ষ লক্ষ সৎ পরীক্ষার্থী বিপদে পড়বেন।
নিটে বড় মাপের অনিয়মের কোনও প্রমাণ মেলেনি বলেও দাবি করা হয় হলফনামায়। বলা হয়, সিবিআই তথাকথিত অনিয়মের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত পরিচালনা করছে। পরীক্ষার পবিত্রতা নিশ্চিত করতে এবং শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষার্থে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে আবেদনকারী পক্ষের তরফে কাউন্সেলিং স্থগিতের আবেদন জানানো হলেও তাতে সায় দেয়নি শীর্ষ আদালত। এই পরিস্থিতিতে এনটিএ-র তরফে শনিবার ‘পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পর্যন্ত’ কাউন্সেলিং স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু শনিবার এ প্রসঙ্গে বলেন,‘‘সর্বভারতীয় পরীক্ষা এবং কাউন্সেলিং স্থগিত হওয়ার নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ব্যর্থতা। এক দিকে, কেন্দ্র ডাক্তারির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা আয়োজন করতে ব্যর্থ হয়েছে, অন্য দিকে, অ-বিজেপি রাজ্যগুলি থেকে ডাক্তারি প্রবেশিকার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এখন তারই প্রভাব পড়ছে পড়ুয়াদের জীবনে। তাই দ্রুত রাজ্যগুলিকে পুরোনো পদ্ধতিতে ডাক্তারির প্রবেশিকার আয়োজন করার দায়িত্ব ফিরিয়ে দেওয়া হোক।’’