র্যাপিডএক্স ট্রেন তৈরি। ছবি: এনসিআরটিসি ওয়েবসাইট
করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার আবহেই নতুন এক ট্রেন চালু হতে চলেছে। তবে ভারতীয় রেল নয় এই ট্রেন চালাবে এনসিআরটিসি (ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন)। সব ঠিক থাকলে জুন মাসেই চালু হয়ে যাবে কোনও আঞ্চলিক রেল পরিষেবা সংস্থার প্রথম সেমি হাই স্পিড ট্রেন ‘র্যাপিডএক্স’।
এনসিআরসিটিসি-র সঙ্গে রেলের কোনও সম্পর্ক নেই। রাজধানী দিল্লির আশপাশের এলাকায় ট্রেন চালানোর জন্য কেন্দ্রের সঙ্গে দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারে যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয় এনসিআরসিটিসি। নেতৃত্ব দেয় কেন্দ্রের নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। ১৯৫৬ সালের কোম্পানি আইন অনুযায়ী এই সংস্থা তৈরি হয় ২০১৩ সালে। ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন (এনসিআর) দিল্লি, ফরিদাবাদ, গাজিয়াবাদ, গুরুগ্রাম, নয়ডার মতো শহরের বাসিন্দাদের দ্রুত গতির রেল পরিষেবা দিতেই এই সংস্থা তৈরি হয়। এখন সেই সংস্থাই ‘র্যাপিডএক্স’ ট্রেন পরিষেবা চালু করতে চলেছে। রাজধানী থেকে নিজের শহরে কাজের শেষে ফিরে যাওয়ার সুবিধা দিতেই এই ট্রেনের পরিকল্পনা করা হয়।
জুনেই চালু হতে চলা ‘র্যাপিডএক্স’ ট্রেনটি চলবে দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মিরাট রুটে। এর জন্য আলাদা রেললাইন তৈরি হয়েছে। ট্রেনটি ছাড়বে আনন্দবিহার র্যাপিডএক্স স্টেশন থেকে। তবে আপাতত ট্রেনটি চলবে শাহিবাবাদ থেকে দুহাই পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার পথ। লক্ষ্য রয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে পুরো রুট চালু করে দেওয়া। দাবি করা হয়েছে, পুরো রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে গেলে দিল্লি থেকে মিরাট যেতে এখনকার তুলনায় ৪০ শতাংশ কম সময় লাগবে।
‘র্যাপিডএক্স’ চালানোর জন্য দিল্লি থেকে মিরাটের গোটা পথে মোট আটটি করিডর বানানোর পরিকল্পনা। ইতিমধ্যেই তিনটি করিডর তৈরি হয়ে গিয়েছে। এনসিআরসিটিসি-র দাবি এই রুটে ১৮০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চালানো যাবে। তবে আপাতত ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চালানো হবে। ট্রেনও তৈরি করা হয়েছে গতির কথা ভেবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘আত্মনির্ভর ভারত’ স্লোগান মেনে ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ট্রেনের সামনেটা বুলেট ট্রেনের মতো ‘লং নোজ’ করা হয়েছে। যাত্রীদের দৃশ্যসুখের কথা মাথায় রেখে বানানো হয়েছে বড় বড় কাচের জানলা।
দিল্লি থেকে মিরাট যাওয়ার দ্রুত গতির ট্রেন এখনও রয়েছে। দিল্লি-দেহরাদূন বন্দেভারত এক্সপ্রেস ছাড়াও একই রুটের শতাব্দী এবং জনশতাব্দী এক্সপ্রেস রয়েছে। সবগুলিই মিরাটে দাঁড়ায়। তবে নতুন যে ‘র্যাপিডএক্স’ চালু হওয়ার কথা তার ভাড়া হবে তুলনামূলক কম। তবে ট্রেন চালুর দিনক্ষণের মতো ভাড়াও এখনও ঘোষণা করা হয়নি।