বালেশ্বরে দুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ছবি: সংগৃহীত।
বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করলেন রেলওয়ে সেফটি কমিশনার এএম চৌধরি। সোমবার খড়্গপুর থেকে তদন্ত শুরু করেছেন তিনি। ওড়িশা থেকে বেশ কয়েক জনকে ডেকেও পাঠিয়েছেন।
রেলের তরফে দুর্ঘটনার পরেই জানানো হয়েছিল, রেল সেফটি কমিশনার পৃথক এবং স্বতন্ত্র ভাবে এই ঘটনার তদন্ত করবেন। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও সে কথা জানিয়েছিলেন। তার পর শনিবার বালেশ্বরে দুর্ঘটনাস্থলে যান কমিশনার নিজে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আসেন। বাহানগা বাজারে সে সময় জোরকদমে চলছিল উদ্ধারকাজ। সে সব দেখেশুনে তিনি ফিরে আসেন।
সোমবার খড়্গপুর থেকে তদন্ত শুরুর পর তিনি ওড়িশার রেলকর্মীদের ডেকে পাঠিয়েছেন। সূত্রের খবর, বালেশ্বর, বাহানগা বাজার এবং ভুবনেশ্বর রেল স্টেশনের কয়েক জন কর্মীকে সোমবার খড়্গপুরে আসতে বলা হয়েছে। ঘটনার দিন ঠিক কী হয়েছিল, সে সম্বন্ধে তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হবে। তার পর কী থেকে দুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখবেন কমিশনার।
খড়্গপুরে করমণ্ডল দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।
রবিবার এই দুর্ঘটনায় সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছে রেল। প্রাথমিক তদন্তের পর তারা জানিয়েছিল, সিগন্যালের ত্রুটিই এই দুর্ঘটনার কারণ। কিন্তু রবিবার সকালে রেলমন্ত্রী স্পষ্ট ইঙ্গিত দেন, দুর্ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে মানুষের হাত। সে দিন সন্ধ্যায় তিনি জানান, সরকারের কাছে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করা হয়েছে। এর পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি করমণ্ডলকাণ্ডে অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনা দেখছে ভারতীয় রেল?
অন্তর্ঘাত কি না, তা বিস্তারিত তদন্তের পরেই প্রকাশ্যে আসবে। তবে আপাতত তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় কার দোষে কী থেকে কী হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও ওড়িশা সরকার জানায়, মৃতের সংখ্যা ২৭৫। উদ্ধারকাজ সম্পন্ন করেছে রেল। লাইন মেরামত করে ট্রেন চলাচলও শুরু হয়েছে। সকালেই ওই লাইন দিয়ে চলেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে বালেশ্বর।
(এই প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশের সময় লেখা হয়েছিল, খড়্গপুরে করমণ্ডল দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। সেই তথ্য ভুল। তদন্ত শুরু করেছেন রেল সেফটি কমিশনার। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিক দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।)