VC Recruitment

১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপালের উপাচার্য নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

রাজ্যের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেই নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করলেন অবসরপ্রাপ্ত এক অধ্যাপক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২৩ ১৫:০৩
Share:

কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা রুজু হল। — ফাইল চিত্র।

রাজ্যের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁকেও এই মামলায় যুক্ত করা হয়েছে। আগামী সোমবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। জনস্বার্থ মামলাটি করেছেন অবসরপ্রাপ্ত এক অধ্যাপক।

Advertisement

গত বুধবার রাজ্যের ১৪টি উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অস্থায়ী উপাচার্যের নাম ঠিক করতে আলোচনায় বসেছিলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের জন্য রাজভবন থেকে চিঠি যায়। জানা গিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়, সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়, বাবাসাহেব অম্বেডকর এডুকেশন বিশ্ববিদ্যালয়, ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় এবং দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়— এই ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল।

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য দাবি করেন, রাজভবন থেকে অস্থায়ী উপাচার্য পদে নিয়োগের যে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে, তাতে কোথাও নিয়োগ (অ্যাপয়েন্টমেন্ট) কথাটি নেই। এর পাশাপাশি ব্রাত্যের অভিযোগ, গোটা বিষয়টিই রাজভবন করেছে ‘একতরফা ভাবে’। উচ্চশিক্ষা দফতরকে কিছুই জানানো হয়নি। ব্রাত্য ঘোষণা করেছিলেন, শিক্ষা দফতর এই উপাচার্যদের স্বীকৃতি দিচ্ছে না। তিনি ওই ১১ জনের কাছে উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে ‘সসম্মান অনুরোধ’ জানিয়েছিলেন যে, তাঁরা যেন পদ প্রত্যাহার করেন। যদিও ব্রাত্যের অনুরোধ বিফলে যেতে দেখা গিয়েছিল। ১০ জনই আচার্যের দেওয়া পদ গ্রহণ করেছিলেন। এক জন ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নিয়োগ গ্রহণ করেননি। শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর ছিল, রাজভবনের সঙ্গে দ্বৈরথে আইনি রাস্তা নিতে পারে বিকাশ ভবন। ব্রাত্য নিজেও জানিয়েছিলেন, এ বিষয়ে আইনি পরামর্শ নেওয়া শুরু হয়েছে। এ বার এ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement