প্রতীকী ছবি।
বছরে দু’কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন ‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো’ (এনসিআরবি)-র দেওয়া তথ্য বলছে, মোদী জমানার প্রথম পর্বে, ২০১৬ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে দেশে বেকারত্বের কারণে আত্মহত্যার হার বেড়েছে ২৪ শতাংশ।
এনসিআরবি-র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৬ সালে বেকারত্বের কারণে দেশে ২,২৯৮ জন আত্মহত্যা করেছিলেন। ২০১৯-এ তা বেড়ে হয় ২,৮৫১। মধ্যবর্তী সময়ে ২০১৭-য় ২,৪০৪ এবং ২০১৮-য় ২,৭৪১ জন বেকার আত্মঘাতী হন।
২০১৯ সালের হিসেব জানাচ্ছে, বেকারত্বের কারণে আত্মহত্যার শীর্ষে রয়েছে কর্নাটক। দক্ষিণ বছরের ওই রাজ্যে এক বছরে ৫৫৩ জন আত্মঘাতী হয়েছেন। পরের চারটি স্থানে রয়েছs মহারাষ্ট্র (৪৫২), তামিলনাড়ু (২৫১), ঝাড়খণ্ড (২৩২) এবং গুজরাত (২১৯)। ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গে আত্মঘাতী হয়েছেন ৪০ জন কর্মহীন।
কোভিড-১৯ সংক্রমণের আগেই মোদী জমানায় বেকারত্বের হার পৌঁছে গিয়েছিল ৪৫ বছরের সর্বোচ্চে। অতিমারি আবহে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে বলেই আশঙ্কা। গত বছর এনসিআরবি জানিয়েছিল, এক দশকে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা করেছেন দিনমজুরেরা। প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সাল থেকে জাতীয় স্তরে ‘দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু ও আত্মহত্যা’র তথ্য একত্রিত করে প্রকাশ করতে শুরু করে এনসিআরবি।