Punjab Assembly Election 2022

Navjot Singh Sidhu Resign: গিরীশ, গণেশ, লাল্লুর পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সিধুও

পঞ্জাবে কংগ্রেস জমানার পরিসমাপ্তি এবং আম আদমি পার্টির (আপ) উত্থানের জন্য সিধুকেই প্রত্যক্ষ ভাবে দায়ী করা হচ্ছিল দলের অন্দরে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চন্ডীগড় শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২২ ১১:৫৪
Share:

নভজ্যোত সিংহ সিধু। ফাইল চিত্র ।

পঞ্জাব প্রদেশের কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নভজ্যোত সিংহ সিধু। উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, মণিপুর, গোয়া এবং উত্তরাখণ্ডে সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের প্রত্যেকটিতেই ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। তার মধ্যে আবার পঞ্জাবে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে ক‌ংগ্রেস। এর মধ্যেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কংগ্রেস সূত্রে জানা যায়, ওই পাঁচ নির্বাচনী রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিদের ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী।

Advertisement

পঞ্জাবে কংগ্রেস জমানার পরিসমাপ্তি এবং আম আদমি পার্টির (আপ) উত্থানের জন্য সিধুকেই প্রত্যক্ষ ভাবে দায়ী করা হচ্ছিল দলের অন্দরে। নির্বাচনের আগেও তাঁর সঙ্গে চরণজিত্ চন্নীর দূরত্বের কথা স্পষ্ট ভাবেই ফুটে উঠেছিল। এর পর আবার আপ–এর জয় প্রসঙ্গে জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন পঞ্জাবের মানুষ আপ-কে আনার সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও ভুল হয়নি। এর পরই সিধু কংগ্রেস নেতৃত্বের কুনজরে পড়েন বলেও মনে করা হচ্ছিল।

সিধু ছাড়াও পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উত্তরপ্রদেশের অজয় কুমার লাল্লু, উত্তরাখণ্ডের গণেশ গোদিয়াল, গোয়ার গিরীশ চোড়নকর এবং মণিপুর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এন লোকেন সিংহকে। মঙ্গলবার সকালেই বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের দায় স্বীকার করে ইস্তফা দেন গোয়ার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গিরীশ। নির্দেশ আসার পর পরই ইস্তফা দেন উত্তরপ্রদেশের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অজয় এবং উত্তরাখণ্ডের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গণেশও। তবে এখনও পর্যন্ত নিজের সিদ্ধান্ত জানাননি মণিপুরের এন লোকেন।

Advertisement

কংগ্রেস মারফত আগেই জানা গিয়েছিল যে, সদ্য শেষ হওয়া পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের নাজেহাল অবস্থা হওয়ার পর এই রাজ্যগুলিতে কংগ্রেস নেতৃত্বের বড়সড় রদবদল দেখা যেতে পারে। আর তারই প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও মত সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের।

প্রসঙ্গত, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের লজ্জাজনক হারের পর রবিবার বিকেলে প্রায় পাঁচ ঘণ্টার বৈঠক করে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। তার আগে জল্পনা ছড়িয়েছিল, এই শোচনীয় হারের দায় নিয়ে সভানেত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন সনিয়া। নয়া সভাপতি পদে মহারাষ্ট্রের নেতা মুকুল ওয়াসনিকের নামও উঠে আসছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত নিজে ইস্তফার বার্তা না দিলেও পাঁচ রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে ইস্তফার নির্দেশ দিলেন সনিয়া।

সূত্র অনুযায়ী আরও জানা গিয়েছে যে, ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে প্রিয়ঙ্কা এবং রাহুল সমেত নেতৃত্ব থেকে পদত্যাগ করতে প্রস্তুত ছিলেন সনিয়া। কিন্তু সনিয়ার এই প্রস্তাব ফিরিয়ে তাঁকেই নেতৃত্বদানের অনুরোধ করেন কংগ্রেস নেতারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement