পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের শোচনীয় হারের পর রবিবার বিকেলে প্রায় পাঁচ ঘণ্টার বৈঠক করে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। বৈঠক শুরুর আগে জল্পনা ছড়িয়েছিল, এ বার হারের দায় নিয়ে হয়তো সভানেত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন সনিয়া। সম্ভাব্য নয়া সভাপতি পদে মহারাষ্ট্রের নেতা মুকুল ওয়াসনিকের নাম নিয়ে জল্পনাও শুরু হয়েছিল।
সনিয়া গাঁধী।
সদ্য শেষ হওয়া বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির জেরে উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর এবং গোয়ার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। মঙ্গলবার সন্ধ্য়ায় কংগ্রেস সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে।
দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে সদ্য শেষ হওয়া পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের খারাপ ফলের পর সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির দলীয় সংগঠনের বড় রদবদল করা হতে পারে। সে কারণেই পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পাঁচ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি— উত্তরপ্রদেশের অজয় কুমার লাল্লু, পঞ্জাবের নভজ্যোৎ সিংহ সিধু, উত্তরখণ্ডের গণেশ গোদীয়াল, গোয়ার গিরীশ চোড়নকর এবং মণিপুর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এন লোকেন সিংহকে ইস্তফা দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালেই বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের দায় স্বীকার করে ইস্তফা দিয়েছেন গোয়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গিরীশ।
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের শোচনীয় হারের পর রবিবার বিকেলে প্রায় পাঁচ ঘণ্টার বৈঠক করে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। বৈঠক শুরুর আগে জল্পনা ছড়িয়েছিল, এ বার হারের দায় নিয়ে হয়তো সভানেত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন সনিয়া। সম্ভাব্য নয়া সভাপতি পদে মহারাষ্ট্রের নেতা মুকুল ওয়াসনিকের নাম নিয়ে জল্পনাও শুরু হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত ইস্তফার বার্তা দেননি সনিয়া।
সূত্রের খবর, ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সনিয়া জানান, দল যদি মনে করে তবে তাঁরা তিনজনই (সনিয়া, রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা) নেতৃত্ব থেকে পদত্যাগ করতে প্রস্তুত। কিন্তু সনিয়ার এই প্রস্তাব সবিনয়ে সরিয়ে তাঁকেই নেতৃত্বদানের অনুরোধ করেন কংগ্রেস নেতারা।