দিল্লিতে কংগ্রেসের বিক্ষোভে জলকামান। ছবি: রয়টার্স।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সনিয়া গাঁধীকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের প্রতিবাদে দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ দেখাতে পথে নামলেন কংগ্রেসের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। হল দফায় দফায় সংঘর্ষ। চলল লাঠি, জলকামান। পি চিদম্বরম, অজয় মাকেন-সহ কংগ্রেসের বেশ কয়েক জন নেতাকে বৃহস্পতিবার আটক করে দিল্লি পুলিশ।
বুধবার রাত থেকেই দিল্লির ২৪ আকবর রোডের কংগ্রেসের সদর দফতরের সামনে লোহার ব্যারিকেডের প্রাচীর তৈরি করে প্রবেশে কড়াকড়ি শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিল্লি পুলিশ। কিন্তু সকাল থেকেই আকবর রোডের অদূরে জমায়েত শুরু হয়। ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে।
দুপুরে সনিয়া ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার জন্য রওনা দেওয়ার পরে উত্তেজনার পারদ চড়ে। শুরু হয় বিক্ষোভ। সেই বিক্ষোভ ঠেকাতে দিল্লি পুলিশ লাঠি, জলকামান ব্যবহার করে। দিল্লিতে রেল এবং রাস্তাও অবরোধ করেন কংগ্রেস সমর্থকেরা। রাজস্থান, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, ত্রিপুরা-সহ বিভিন্ন রাজ্যে বৃহস্পতিবার অসুস্থ সনিয়াকে ইডির তলবের প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়। বেঙ্গালুরুতে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশ লাঠি চালালে উত্তেজিত কংগ্রেস সমর্থকেরা কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন বলে অভিযোগ।