ইডির দফতরে যাচ্ছেন সনিয়া গাঁধী। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর দিল্লির দফতরে হাজির হলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। বৃহস্পতিবার দুপুরে দিল্লির এপিজে আবদুল কালাম রোড সংলগ্ন ইডির দফতরে যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন, মেয়ে প্রিয়ঙ্কা এবং কংগ্রেস নেতা তথা রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত।
গত জুন মাসে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইডি রাহুল গাঁধীকে পাঁচ দিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। মোট ৫০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে! ওই পাঁচ দিনই দিল্লির রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। অশান্তি এড়াতে তাই এ বার কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল গোটা এলাকায়। বন্ধ করে দেওয়া হয় আকবর রোড। ইডি সূত্রের খবর, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মোনিকা শর্মার নেতৃত্বাধীন ইডি-র বিশেষ তদন্তকারী দল সনিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের দায়িত্বে রয়েছে।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বেআইনি ভাবে অর্থ লেনদেনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৮ জুন সনিয়াকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু অসুস্থতার কারণে তিনি হাজির হতে পারেননি। প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলে সাত বছর আগে এই ন্যাশনাল হেরাল্ড-কাণ্ডেই সনিয়া গাঁধী এবং রাহুলকে ক্লিনচিট দিয়ে মামলা বন্ধের সুপারিশ করেছিল ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)’। সংস্থার তৎকালীন যুগ্ম-অধিকর্তা রাজন কাটোচ সে সময় অর্থ মন্ত্রকে পাঠানো রিপোর্টে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন, কংগ্রেসের দুই শীর্ষনেতার বিরুদ্ধে সব অভিযোগই ভিত্তিহীন।
কিন্তু সেই মামলাতেই ফের তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করার ঘটনাকে মোদী সরকারের ‘প্রতিহিংসামূলক আচরণ’ বলছে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। বৃহস্পতিবার সংসদ ভবন চত্বরে এই ঘটনা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস সাংসদেরা। ইডির দফতরের অদূরেও রাস্তায় বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। ২৪ আকবর রোডে কংগ্রেস সদর দফতরের অদূরে দলের নেতা-কর্মীদের উপর পুলিশ লাঠি চালায় বলে অভিযোগ। গ্রেফতার করা হয় কয়েক জন বিক্ষোভকারীকে।