জ্ঞানবাপী মসজিদ। ফাইল চিত্র।
মসজিদ চত্বরে ওজুখানায় শিবলিঙ্গের উপস্থিতি সম্পর্কে দাবি করে তার বয়স জানার জন্য ‘কার্বন ডেটিং’ পরীক্ষার আবেদন জানানো হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ২০২১ সালের অগস্টে পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ (ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত) এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে তা পূজার্চনার অনুমতি চেয়ে যে মামলা দায়ের করেছিলেন, বারাণসী জেলা আদালতে তার রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা প্রয়োজন।
জ্ঞানবাপী মামলায় ইলাহাবাদ হাই কোর্টের ‘কোর্ট কমিশনার’ নিয়োগের নির্দেশের বিরুদ্ধে ‘অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটি’র তরফে যে আবেদন জানানো হয়েছিল, আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত তার শুনানি স্থগিত রাখার কথাও ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সে সময় মসজিদ চত্বরের রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত দাবিরও শুনানি হবে।
প্রসঙ্গত, বারাণসী দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর নিযুক্ত কমিটি মসজিদের অন্দরে সমীক্ষা ও ভিডিয়োগ্রাফির নির্দেশ দিয়ে পর্যবেক্ষক দল গঠন করেছিলেন। সেই কাজ শেষ হওয়ার পরেই গত ২০ মে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার শুনানির দায়িত্ব পায় বারাণসী জেলা আদালত। পর্যবেক্ষক দলের ভিডিয়োগ্রাফির রিপোর্টে মসজিদের ওজুখানার জলাধারে শিবলিঙ্গের মতো আকৃতির যে কাঠামোর খোঁজ মিলেছে, সেটি আসলে ফোয়ারা বলে মুসলিম পক্ষের দাবি।