নীতীশ কুমারের সঙ্গে গয়ার মন্দিরে বিহারের মন্ত্রী মনসুরি। —ছবি টুইটার থেকে।
মু্খ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে গয়ার বিষ্ণুপাদ মন্দিরের গর্ভগৃহে গিয়েছিলেন বিহারের মন্ত্রী মহম্মদ ইজরাইল মনসুরি। হিন্দু না হয়ে কীভাবে ঢুকলেন মন্দিরের গর্ভগৃহে? সেই নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিহার বিজেপি নেতারা। শুরু বিতর্ক। যদিও মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ বা রাজ্যের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী মনসুরি এই নিয়ে মুখ খোলেননি।
গয়া সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সোমবার বিষ্ণুপাদ মন্দিরে গিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন মনসুরি। নীতীশের সরকারি টুইটার অ্যাকাউন্টে গর্ভগৃহে দাঁড়িয়ে দু’জনের পুজো করার ছবি পোস্ট করা হয়েছে। মন্দির থেকে বেরিয়ে মনসুরি বলেন, ‘‘বিষ্ণুপাদ মন্দিরের গর্ভগৃহে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে প্রবেশ করতে পারা আমার সৌভাগ্য।’’
মন্দির কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন, হিন্দু ছাড়া অন্য ধর্মের মানুষের মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ। মন্দিরের গেটে সেই বিজ্ঞপ্তি লেখা রয়েছে। তার পরেও মনসুরি মন্দিরে কী ভাবে প্রবেশ করেছেন, সেই নিয়ে তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করেছেন কর্তৃপক্ষ।
বিজেপি বিধায়ক ঠাকুর বাচৌল এই নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘‘মন্দিরে প্রবেশ করে মনসুরি অধর্মের কাজ করেছেন। স্পষ্ট ভাবে লেখা রয়েছে যে, মন্দিরে অ-হিন্দুরা প্রবেশ করতে পারবেন না। তার পরেও কী ভাবে প্রবেশ করলেন মনসুরি? এ জন্য মুখ্যমন্ত্রী নীতীশকে জবাব দিতে হবে। তিনি হিন্দুদের আবেগে আঘাত করেছেন। মন্দিরের অবমাননা করেছেন।’’
বিহার বিজেপির মুখপাত্র তথা জাতীয় সাধারণ সম্পাদক নিখিল আনন্দ বলেন, ‘‘নীতীশ কুমার হিন্দু ধর্মগ্রন্থ বা হিন্দু রীতিনীতিতে বিশ্বাস করেন না। নীতীশজি এত ধর্মনিরপেক্ষ হতে চাইলে মক্কা বা মদিনায় গিয়ে নমাজ পড়ুন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যে ভাবে নীতীশ কুমার মন্দির চত্বর দূষিত করেছেন, তার জন্য হিন্দু ধর্মাবলম্বী এবং সনাতন ধর্মে বিশ্বাসীদের কাছে তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত। মুসলিম তোষণের জন্য নীতীশ ছবি তোলার সুযোগ খোঁজেন, এই পদক্ষেপকে ধিক্কার জানাই।’’
জিতন রাম মাঝির দল হাম-এর মুখপাত্র দানিশ রিজওয়ান বলেন, ‘‘বিজেপি নেতারা যে ভাবে সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানোর চেষ্টা করছেন, তা আপত্তিকর। ওঁরা সমাজে বিষ ছড়াচ্ছেন। বিহারে তাঁদের সাম্প্রদায়িক স্বার্থসিদ্ধি করতে দেব না।’’