প্রতীকী চিত্র।
ফের যোগীরাজ্যে অভিযোগ উঠল সংখ্যালঘুর উপর হামলার। গত ৫ জুন পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে আব্দুল সামাদ নামে এক ব্যক্তিকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে দুষ্কৃতীরা প্রচণ্ড মারধর করে বলে অভিযোগ। ওই গণপিটুনির ঘটনায় প্রবেশ গুজ্জর নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ জানিয়েছেন, অটোরিকশ থেকে অপহরণ করেছিল স্থানীয় কিছু যুবক। দুষ্কৃতীরা সে সময় সামাদকে লক্ষ্য করে ‘পাকিস্তানের চর’ বলে চিৎকার করছিল। ঘটনার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে (আনন্দবাজার ডিজিটাল ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি)। তাতে দেখা যাচ্ছে, দুষ্কৃতীদের একজনের পরণে ছিল সাদা টি-শার্ট এবং নীল ট্রাউজার্স। তার হাতে ছিল ছুরি। অন্যদের হাতে লাঠি।
পুলিশকে দেওয়া বয়ানে সামাদ জানিয়েছেন, তাঁকে তুলে শহরের পাশে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। জোর করে কেটে দেওয়া হয় দাড়ি। সে সময় তাদের মুখে ছিল ‘বন্দে মাতরম’, ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান। তিনি বলেন, ‘‘আক্রমণকারীরা আমার মোবাইল কেড়ে নিয়েছিল। তারা সগর্বে বলছিল, এর আগেও অনেক মুসলিমকে মেরেছে। আমাকেও ওরা স্লোগান দিতে বাধ্য করে’’। একটি ঘরে বেশ কিছুক্ষণ আটকে রাখার পরে সামাদকে দুষ্কৃতীরা ছেড়ে দেয়। এরপর তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। স্থানীয় লোনি থানার আধিকারিক অনিল সোনকার সোমবার বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই আমরা এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছি। বাকিদের খোঁজ চলছে।’’