মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি। বান্দ্রায় ১২ অক্টোবর গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন তিনি। —ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকির খুনের মামলায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত শিবকুমারকে গ্রেফতার করল মুম্বই পুলিশ। সিদ্দিকির উপর যে তিন আততায়ী হামলা চালিয়েছিল, তাদের মধ্যে অন্যতম শিবকুমার। রবিবার উত্তরপ্রদেশের বহরাইচ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সে নেপালে পালানোর ছক কষছিল। এই নিয়ে সিদ্দিকি খুনের মামলায় মোট ২১ জনকে গ্রেফতার করা হল।
শিবকুমার ছাড়াও রবিবার আরও চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতেরা হল অনুরাগ কশ্যপ, জ্ঞানপ্রকাশ ত্রিপাঠি, আকাশ শ্রীবাস্তব এবং অখিলেশেন্দ্র প্রতাপ সিংহ। শিবকুমারকে আশ্রয় দেওয়া এবং তাকে নেপালে পালানোর ছকে সাহায্য করার অভিযোগ রয়েছে এই চার জনের বিরুদ্ধে। গত ১২ অক্টোবর মুম্বইয়ের বান্দ্রায় সিদ্দিকির পুত্র জ়িশানের দফতরের সামনেই গুলি করে খুন করা হয়েছিল মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রীকে। তার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিল শিবকুমার। গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বহরাইচে হানা দেয় মুম্বই পুলিশের একটি দল। পুলিশের ওই যৌথ অভিযানে ধরা পড়ে যায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক জেরায় অভিযুক্ত স্বীকার করেছে যে সে লরেন্স বিশ্নোই গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত। যদিও এ বিষয়ে পুলিশের তরফে আধিকারিক স্তরে কোনও বিবৃতি এখনও দেওয়া হয়নি। প্রসঙ্গত, ১২ অক্টোবর মোট তিন জন আততায়ী সিদ্দিকিকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল। অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তৃতীয় অভিযুক্ত শিবকুমার। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক ছিল। রবিবার তাকেও গ্রেফতার করল পুলিশ।
মুম্বই পুলিশের অপরাধদমন শাখার ৬ আধিকারিক এবং আরও ১৫ জন পুলিশকর্মী ছিলেন ওই অভিযানে। তাঁদের ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশ থেকে মুম্বইয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, সিদ্দিকি খুনের মামলায় ইতিমধ্যে বিশ্নোইয়ের ভাই আনমোল বিশ্নোইয়ের নাম উঠে আসছে। সূত্রের দাবি, লরেন্স জেলবন্দি থাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্ম আনমোলই পরিচালনা করেন। সিদ্দিকির উপর হামলার নেপথ্যেও লরেন্সের ভাইয়ের কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে চাইছে পুলিশ।