Jammu and Kashmir

ফের জঙ্গিহানা কাশ্মীরে! কিস্তওয়ারে জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হল সেনা জওয়ানের, জখম আরও ৩

রবিবার সকাল থেকেই কিস্তওয়ারের জঙ্গলে সেনা এবং ১১ রাষ্ট্রীয় রাইফেল্‌‌স বাহিনীর যৌথ অভিযান শুরু হয়। উল্লেখ্য, গত ৮ নভেম্বর এই এলাকা থেকেই দু’জন জওয়ানের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪ ২০:২৭
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

কাশ্মীরে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে আবার প্রাণ হারালেন এক সেনা জওয়ান। গুরুতর জখম অবস্থায় আরও তিন জওয়ান চিকিৎসাধীন। রবিবার জম্মু ও কাশ্মীরের কিস্তওয়ারে ঘটনাটি ঘটেছে।

Advertisement

সেনাবাহিনীর তরফে রবিবার সন্ধ্যায় বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, কিস্তওয়ারের ভরত ব্রিজের কাছে জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ওই সেনা জওয়ানের। নিহত জওয়ানের নাম রাকেশ কুমার। তিনি ভারতীয় সেনার জুনিয়র কমিশন্‌ড অফিসার (জেসিও) নায়েব সুবেদার পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছে সেনাবাহিনী।

রবিবার সকাল থেকেই কিস্তওয়ারের জঙ্গলে ভারতীয় সেনা এবং ১১ রাষ্ট্রীয় রাইফেল্‌‌স বাহিনীর যৌথ অভিযান শুরু হয়েছিল। উল্লেখ্য, গত ৮ নভেম্বর এই এলাকা থেকেই দু’জন গ্রামসুরক্ষা জওয়ান (ভিলেজ ডিফেন্স গার্ড)-এর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। শনিবার গোপন সূত্রে সেনাবাহিনী জানতে পারে, এখনও কিস্তওয়ারের জঙ্গলেই লুকিয়ে রয়েছে ওই খুনে অভিযুক্ত জঙ্গিরা। সেই খবরের ভিত্তিতে রবিবার সকালে অতর্কিতে অভিযান চালানো হয়। জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর দীর্ঘ গুলির লড়াই চলে। তখনই জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় ওই জওয়ানের। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও তিন জওয়ান।

Advertisement

জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে একের পর এক জঙ্গি কার্যকলাপের ঘটনা ঘটছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন জম্মু ও কাশ্মীরের নতুন সরকার এবং কেন্দ্রও। গত সপ্তাহেই আখনুরে সেনার অ্যাম্বুল্যান্সে হামলা হয়েছিল। সম্প্রতি গুলমার্গেও সেনার গাড়িতে হামলা চলে। তাতে দু’জন জওয়ান এবং বাহিনীর দুই মালবাহকের মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি সোনমার্গের কাছে নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের উপরেও হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। এক চিকিৎসক-সহ সাত জনের মৃত্যু হয়েছে ওই হামলায়। গত কয়েক দিন ধরেই সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত কাশ্মীর। শনিবারও পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযানে বারামুলায় এক জঙ্গি নিহত হয়েছে। আরও জঙ্গির খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলেছে রাত পর্যন্ত। পর পর ঘটনাগুলিতে চাপ বেড়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement