মুম্বইয়ে স্ত্রীকে গলা টিপে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। —ফাইল চিত্র।
পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে গলা টিপে খুনের অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে। খুনের পর তিনি স্ত্রীর দেহ গাড়িতে করে নিজের ভাইয়ের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন। পরে অসুস্থতার কারণে স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে ডাক্তার ডাকেন। ডাক্তারকে মৃত্যুর শংসাপত্র লিখে দিতে বলেছিলেন তিনি। কিন্তু সন্দেহ হওয়ায় ওই ডাক্তারই পুলিশকে খবর দেন। ধরা পড়ে যান যুবক। তাঁকে এবং তাঁর ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনাটি মুম্বইয়ের নায়গাঁও (পূর্ব) এলাকার। মৃত মহিলার নাম খুরশিদা খাতুন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে ইসমাইল চৌধরির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই দম্পতির মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে ঝগড়াঝাঁটি হত। যুবকের সন্দেহ ছিল, অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী। বিবাহ-বহির্ভূত সেই সম্পর্ক নিয়েই তাঁদের মধ্যে অশান্তি চলত। বুধবার বিকেলে সেই অশান্তিই চরম আকার নেয়। অভিযোগ, তখনই স্ত্রীকে গলা টিপে খুন করেন যুবক।
পুলিশ জানিয়েছে, তাদের জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন যুবক। তিনি জানিয়েছেন, রাগের মাথায় খুন করে ফেলেছেন। তার পর নিজেই ভাইকে ফোন করে ঘটনার কথা জানান। গাড়ি বুক করে স্ত্রীর দেহ নিয়ে তিনি ১২ কিলোমিটার দূরে ভাইয়ের বাড়িতে চলেও যান। গাড়ির চালককে জানিয়েছিলেন, অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে গিয়ে শ্যালককে ফোন করেন অভিযুক্ত। তাঁকে জানান, স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কিছু দিন আগে। তার পর তাঁর মৃত্যু হয়েছে। দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে শ্যালককে অনুরোধ করেন তিনি। এর পরেই ডাক্তার ডাকেন মৃত্যুর শংসাপত্রের জন্য।
ডাক্তার এসে মহিলাকে পরীক্ষা করে দেখতে চাইলে যুবক বাধা দেন বলে অভিযোগ। তা থেকেই ডাক্তারের সন্দেহ হয়। তিনি পুলিশে খবর দেন। মহিলার ভাইও তাঁদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। দেহের ময়নাতদন্তের দাবি জানান তিনি। যুবক এবং তাঁর ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খুন-সহ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। যুবক এবং তাঁর ভাইয়ের বয়ানের সত্যতা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।