Mother-Son

মাকে স্কুটারে চাপিয়ে ৪ বছর ধরে দেশভ্রমণে ছেলে! স্বপ্নপূরণে মোটা বেতনের চাকরিও ছাড়েন কৃষ্ণ

২০১৮ সাল থেকে দেশভ্রমণে বেরিয়েছেন মা-ছেলে জুটি। কারণ মায়ের ইচ্ছা। মায়ের ইচ্ছাপূরণ করতে কৃষ্ণ ২০১৮ সালের ১৪ জানুয়ারি বেসরকারি সংস্থার মোটা বেতনের চাকরিও ছেড়ে দেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মাদুরাই শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১১:৪০
Share:

২০১৮ সাল থেকে দেশভ্রমণে বেরিয়েছেন মা-ছেলে জুটি। ছবি: সংগৃহীত।

মায়ের ইচ্ছা পূরণ করতে হবে! তাই মাকে স্কুটারে চাপিয়েই দেশ ভ্রমণে বেরিয়ে গিয়েছেন মাইসুরুর বাসিন্দা কৃষ্ণ কুমার। ইতিমধ্যেই মা চুদারথনাকে নিয়ে স্কুটারে করে ৬১ হাজারের বেশি রাস্তা অতিক্রম করেছেন কৃষ্ণ। ঘুরে ফেলেছেন ভারতের অসংখ্য রাজ্য ও শহর।

Advertisement

২০১৮ সাল থেকে দেশভ্রমণে বেরিয়েছেন মা-ছেলে জুটি। কারণ মায়ের ইচ্ছা। মায়ের ইচ্ছাপূরণ করতে কৃষ্ণ ২০১৮ সালের ১৪ জানুয়ারি বেসরকারি সংস্থার মোটা বেতনের চাকরিও ছেড়ে দেন।

বুধবার মাদুরাইয়ে পৌঁছে মীনাক্ষী আম্মান মন্দির, আলাগার কোভিল, থিরুপারাঙ্গুন্দ্রম এবং কাল্লালগার মন্দির পরিদর্শন করেছেন মা-ছেলে।

Advertisement

মাদুরাইয়ে পৌঁছে এক সাক্ষাৎকারে কৃষ্ণ বলেন, ‘‘আমার মা কখনই পৃথিবী দেখার সুযোগ পাননি। কারণ আমাদের ১০ জনের পরিবারকে খাওয়ানোর জন্য তাঁর জীবন মূলত রান্নাঘরেই কেটেছে। আমি নিজে সেই কারণে অপরাধবোধে ভুগতাম। মা একবার বলেন যে তিনি কখনও দেশের বড় মন্দিরগুলিতে যাননি। আমার কাছে গাড়ি নেই। তাই স্কুটার চাপিয়েই মাকে নিয়ে দেশভ্রমণে যাওয়া সিদ্ধান্ত নিই।’’

কৃষ্ণ মাইসুরুর ভোগদিতে একটি যৌথ পরিবারে থাকতেন এবং বাবা-মার একমাত্র সন্তান।

কৃষ্ণ বলেন, ‘‘আমার দাদু-ঠাকুমা এবং অন্যান্য আত্মীয়রাও আমাদের সঙ্গে থাকতেন। আমার মা সারা দিন ঘর পরিষ্কার করতেন এবং আমাদের জন্য রান্না করতেন। আমার বাবার মৃত্যুর পর, আমি তাঁকে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাই।’’

কৃষ্ণ জানিয়েছেন, এই যাত্রার মাধ্যমে তিনি সন্তানদের মধ্যে বাবা-মায়ের সঙ্গে সময় কাটানো এবং বৃদ্ধ বয়সে তাঁদের যত্ন নেওয়ার বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে চাইছেন।

কিন্তু কী বলছেন কৃষ্ণের মা? যার স্বপ্নপূরণে ছেলে এ যুগের ‘শ্রবণ কুমার’ হয়েছেন। ছেলের সঙ্গে ঘুরতে আসার প্রসঙ্গে গর্বিত হাসি হেসে মা বলেন, ‘‘আমি খুব সন্তুষ্ট। এই সফরে আমি ক্লান্ত বোধ করিনি। চার দেয়ালের মধ্যে আমার অর্ধেক জীবন কাটিয়ে দেওয়ার পরে, আমাদের দেশ দেখার সুযোগটি পাওয়া স্বপ্নের মতো। আর তা সত্যি করেছে আমার ছেলে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement