Andhra Pradesh High Court

পুত্রবধূকে ঘরের কাজ করতে বললে ৪৯৮এ কেন? শাশুড়ির পক্ষে দাঁড়াল অন্ধ্র হাই কোর্ট

ঘরকন্নার কাজে ভুলচুক হলে নিম্নমধ্যবিত্তে পরিবারে লাঞ্ছনা-গঞ্জনার শিকার হতে হয় অনেক পুত্রবধূকেই। অন্ধ্র হাই কোর্ট মনে করছে, এই ‘অপরাধে’ কারও বিরুদ্ধে ৪৯৮এ ধারায় মামলা হতে পারে না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৩ ১৯:১৩
Share:

শাশুড়ির পক্ষে দাঁড়াল অন্ধ্র হাই কোর্ট! ফাইল চিত্র।

ঘরের কাজ না পারার কারণে শাশুড়ির বকাঝকার মুখে পড়লে তাকে গার্হস্থ্য হিংসা বলা যাবে না। একটি মামলার প্রেক্ষিতে এমনই পর্যবেক্ষণ অন্ধ্রপ্রদেশ হাই কোর্টের। ঘরকন্নার কাজে ভুলচুক হলে নিম্নমধ্যবিত্তে পরিবারে লাঞ্ছনা-গঞ্জনার শিকার হতে হয় অনেক পুত্রবধূকেই। তবে উচ্চ আদালত মনে করছে, এই ‘অপরাধে’ কারও বিরুদ্ধে ৪৯৮এ ধারায় মামলা হতে পারে না।

Advertisement

২০০৮ সালের এপ্রিল মাসে বিয়ে হয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা এক দম্পতির। কিন্তু বিয়ের মাত্র ৮ মাসের মধ্যে মৃত্যু হয় স্ত্রীর। মৃতার পরিবারের তরফে স্বামী এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা করে দাবি করা হয়, পণ দিতে না পারার কারণেই মেরে ফেলা হয়েছে তাঁদের মেয়েকে। মৃত মহিলা বাড়ির কাজ করতে না পারায় তাঁর উপর অত্যাচার করা হতও বলে অভিযোগ করা হয়। অন্ধ্রপ্রদেশ হাই কোর্টের বিচারপতি ভিআরকে কৃপাসাগর অবশ্য তাঁর পর্যবেক্ষণে এর মধ্যে হিংসার কিছু দেখেননি।

Advertisement

ঘরকন্নার কাজ না পারার জন্য বকুনি দেওয়াকে হিংসার তকমা না দিয়ে বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, প্রতিটি সংসারেই সংসারের প্রধান ঘরকন্নার কাজ না পারলে পুত্রবধূদের বকাঝকা করে থাকেন। কোনও কোনও সময় অন্যের উদাহরণ টেনে ভাল কাজ করার প্রেরণাও জোগানো হয়। কিন্তু এমনটা কখনও ঘটে না যে, কেউ সংসারের কাজ না পারলে তাঁকে মারধর করা হচ্ছে। পণ চেয়ে না পাওয়ায় অত্যাচার করা হলে তখনই সেটি হিংসার পর্যায়ে পৌঁছতে পারে বলে জানান তিনি। মৃতার পরিবার শাশুড়ি এবং জামাইয়ের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছিল, তা খারিজও করে দেন বিচারপতি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement