অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের দাবি ছিল, ‘ইন্ডিয়া’র নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক কংগ্রেসকে। এক ধাপ এগিয়ে আজ কংগ্রেসকে ‘ইন্ডিয়া’ থেকে বহিষ্কারের দাবি তুলল আম আদমি পার্টি (আপ)। অরবিন্দ কেজরীওয়ালদের বক্তব্য, দিল্লিতে কংগ্রেসের লক্ষ্য আপকে কোণঠাসা করে বিজেপির সুবিধা করে দেওয়া। কেজরীওয়ালের অভিযোগ, ‘‘ভোটের আগে বিজেপির হয়ে খেলছে কংগ্রেস।’’ যা শুনে কংগ্রেসের সন্দীপ দীক্ষিতের কটাক্ষ, ‘‘কেজরীওয়াল ছিঁচকাঁদুনে। দিল্লি নির্বাচনে হার নিশ্চিত জেনে এ সব বলছেন।’’
বছর ঘুরলেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন। নয়াদিল্লি কেন্দ্রে কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে কংগ্রেস সন্দীপের মতো হেভিওয়েট নেতাকে প্রার্থী করায় ক্ষুব্ধ আপ। তাদের বক্তব্য, বিরোধী ভোটে ভাগ করে কেজরীকে হারাতেই বিজেপির নির্দেশে সন্দীপকে প্রার্থী করা হয়েছে। এই চাপানউতোরের মধ্যে গত কাল কেজরীওয়ালকে ‘ফর্জিওয়াল’ (জালিয়াত) বলে কটাক্ষ করে কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন আপ সরকারের দশ বছরে রাজধানীর বেহাল দশা তুলে ধরে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেন।
সব মিলিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের এ ভাবে তেড়েফুঁড়ে নামাটা আদৌ ভাল ভাবে নিচ্ছেন না আপ নেতৃত্ব। আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহ অবিলম্বে মাকেনের ক্ষমাপ্রার্থনা দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘‘কেজরীওয়ালকে দেশবিরোধী বলারজন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে হবেমাকেনকে। না হলে ইন্ডিয়ার দলগুলিকেওই ব্লক থেকে কংগ্রেসকে বার করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করবে আপ।’’ আর মুখ্যমন্ত্রী অতিশী দাবি করেন, ‘‘আপকে হারাতে কংগ্রেস প্রার্থীদের অর্থসাহায্য করছে বিজেপি।’’
আপ নেতাদের এই মন্তব্য ইন্ডিয়া মঞ্চে ফাটলের ইঙ্গিত বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা সুধাংশু ত্রিবেদী। তাঁর কটাক্ষ,, ‘‘ইন্ডিয়া হল স্বার্থের জোট। স্বার্থ ফুরিয়ে গেলেই জোট ভেঙে যায়।’’ তবে বেলগাভিতে বর্ধিত ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে কংগ্রেসের সাংগঠনিক সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল বলেন, ‘‘আমরা ইন্ডিয়া মঞ্চকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আমাদের লক্ষ্য ইন্ডিয়া-কে আরও মজবুত করা।’’ সঞ্জয় সিংহের হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে সরাসরি মন্তব্য করতে চাননি কোনও নেতাই।