—প্রতীকী চিত্র।
সাত বছর আগে হারানো ছেলেকে খুঁজে পেলেন মা। মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবক ২০১৬ সালে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। অনেক খোঁজার পরেও তাঁর সন্ধান মেলেনি। পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরিও করেছিলেন মহিলা। অবশেষে কিছু দিন আগে রাস্তার ধারে অপ্রত্যাশিত অবস্থায় ছেলেকে দেখতে পান তিনি। মহিলা দেখেন, ভিক্ষার বাটি হাতে নিয়ে রাস্তার ধারে বসে আছেন তাঁর পুত্র। ভিক্ষা করছেন পথচলতি মানুষের কাছে।
ঘটনাটি পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি শহরের। ব্যস্ত রাস্তার ধারে পুত্রকে বসে থাকতে দেখে ছুটে যান মহিলা। একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। রাস্তাতেই তৈরি হয় আবেগঘন মুহূর্ত। পরে পুলিশ ওই এলাকার ভিখারিদের ‘গ্যাং’ থেকে চার জনকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, তাঁরা মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর উপর চলেছে অকথ্য অত্যাচার। ওষুধ খাইয়ে, ইঞ্জেকশন দিয়ে যুবককে ভিক্ষা করতে বাধ্য করা হয়েছিল, পুলিশের কাছে তেমনই অভিযোগ জানিয়েছেন মহিলা।
অভিযোগকারী মহিলার নাম শাহিন আখতার। তিনি জানান, তাঁর পুত্র মুস্তাকিম খালিদ এক সময় পুলিশে চাকরি করতেন। পরে মানসিক ভারসাম্য ঠিক না থাকায় বাড়িতে চলে আসেন। ২০১৬ সালে তাঁর এক বার টাইফয়েড হয়েছিল। তার পরেই হঠাৎ উধাও হয়ে যান যুবক। অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের মধ্যে তিন জন মহিলা। ওই এলাকায় ভিখারিদের একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।